ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার ‘সেনা অভিযান’ পরিচালনার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। সেখানে থাকা ইউক্রেনের বাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহ্বানও জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন ফক্স নিউজে নিজের মতামত জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় বুধবার ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ট্রাম্প বলেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলে রাশিয়া এই আগ্রাসন চালাতে পারত না।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, আমার মনে হয় তিনি (পুতিন) কিছু একটা করে দরকষাকষি করতে চেয়েছিলেন। তারপর এটা শুধু খারাপের দিকে গেছে এবং শেষপর্যন্ত তিনি দুর্বলতাটা দেখতে পেয়েছেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ফলে যে ‘দুর্বলতা’ দেখা দিয়েছে, সেটিও এই রুশ আক্রমণের জন্য আংশিক দায়ী।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, তিনি পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন এলাকায় একটি বিশেষ সামরিক অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন।
এর আগে পূর্বাঞ্চলের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ‘ইউক্রেনীয় আগ্রাসন’ বন্ধ করতে মস্কোর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানায়। এই আবেদনের কয়েক ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে যে,
পুতিন বলেছেন, তিনি সেখানকার জনগণকে রক্ষা করার রুশ বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীকে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করার জন্য বলেছেন।
পুতিনের ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, আগ্রাসন আসন্ন। ওই সামরিক অভিযানের ঘোষণার পর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন একটি পূর্ব পরিকল্পিত যুদ্ধ শুরু করেছেন, যে কারণে বহু প্রাণহানি এবং মানুষের জীবনের ক্ষতি হবে। এই আক্রমণের ফলে যে মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ হবে, তার জন্য রাশিয়া একাই দায়ী।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে সেখানে ‘শান্তি ফেরাতে’ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন। পুতিনের ঘোষণার পর সেখানে গোলাবর্ষণ আরও তীব্র হয়েছে।
