পুতিনের হুঁশিয়ারিতে পিছু হটল যুক্তরাষ্ট্র!

রাশিয়াকে ঠেকাতে ইউক্রেনের আকাশসীমায় ‘নো-ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠা করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

পাশাপাশি তিনি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি এই আহ্বান জানান।

জেলেনস্কির ওই প্রস্তাবের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনে বিমান দেওয়া হলে বিপর্যয়কর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

এই হুঁশিয়ারির পরও ইউক্রেনকে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রস্তাব দেয় পোল্যান্ড। কিন্তু পেন্টাগন তা নাকচ করেছে।

পোল্যান্ডের ওই প্রস্তাবে বলা হয়, তারা কিছু মিগ-২৯ নাইন যুদ্ধবিমান জার্মানির মার্কিন ঘাঁটিতে হস্তান্তর করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সেগুলোকে ইউক্রেনে পাঠাবে।

পোল্যান্ডের এই প্রস্তাব সম্পর্কে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইউক্রেনকে বিমান দেওয়ার ব্যাপারে পোল্যান্ড যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা সমর্থন যোগ্য নয়।

জন কিরবি বলেন, জার্মানির ন্যাটো ঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র যদি বিমান উড়িয়ে ইউক্রেনে নেয় তাহলে পুরো ন্যাটো সামরিক জোটের জন্য তা মারাত্মক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

তিনি আরও বলেন, ‘পোল্যান্ডের এই প্রস্তাব কতটা যৌক্তিক তা আমাদের কাছে একেবারেই পরিষ্কার নয়। এই বিষয়টি কী ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে, তা নিয়ে পোল্যান্ড ও ন্যাটো জোটের অন্য সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র পরামর্শ অব্যাহত রাখবে। আমরা মনে করি পোল্যান্ডের এই প্রস্তাব সমর্থনযোগ্য নয়’।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইউক্রেন এখনো তার বিমান উড়াতে এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবহার করতে সক্ষম।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি। রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে দুই সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। সূত্র: আল-জাজিরা