নড়াইলে মুক্তিপণ না পেয়ে মাদরাসা ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের বোড়ামারা গ্রামে মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা না দেয়ায় মাদরাসা ছাত্র আরাফাত শিকদারকে (১১) অপহরণকারীরা শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অপহরণের তিনদিন পর মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে বোড়ামারা গ্রামের জয়নাল মোল্যার বাঁশবাগানে তার মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত আরাফাত ওই গ্রামের ওবাইদুর শিকদারের ছেলে এবং স্থানীয় পেড়লী দাখিল মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় বোড়ামারা গ্রামের তহিদ মোল্যার ছেলে ভবঘুরে নাবিল মোল্যা (১৭) এবং ওই গ্রামের সাহিদুল মোল্যার ছেলে ভ্যানচালক মিলন মোল্যাকে (২১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পরিবার জানায়, গত ১২ মার্চ সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয় শিশু আরাফাত। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান না পাওয়ায় ওইদিন সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

এরপর গত রোববার সকালে মোবাইল ফোন নাম্বার থেকে আরাফাতের পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। তবে চাঁদার টাকা দিতে ব্যর্থ হয় তার পরিবার।

এর মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সেই মোবাইল ফোন নাম্বার ট্র্যাক করে সোমবার রাতে অপহারণকারীদের সন্ধান পায়। ফোন কলের সূত্র ধরে বোড়ামারা গ্রামের নাবিল ও মিলন মোল্যাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আরাফাতের বাবা পোল্ট্রি মুরগি দোকানি ওবাইদুর শিকদার বলেন, অপহারণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। টাকা না দেয়ায় তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার যথাযথ বিচার দাবি করছি।

পিবিআই ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ শামিম জানান, আটককৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

নড়াইল সদর থানার ওসি শওকত কবির বলেন, এ ঘটনায় নাবিল ও মিলন মোল্যাকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া নাবিলের বাবা তহিদ মোল্যা ও মা ফাতেমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।