আঘাত এলে চীনকে ছেড়ে কথা বলবে না ভারত

rajnath-singh

আঘাত এলে চীনকে ছেড়ে কথা বলবে না ভারত। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় কনস্যুলেটের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের সাহসী ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন তিনি। খবর এনডিটিভি। মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। স্থানীয় সময় শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় কনস্যুলেটের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

লাদাখ সীমান্ত নিয়ে বিবাদের জেরে বেইজিংকে কড়া বার্তা দিয়ে রাজনাথ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতের দিকে কোনো আঘাত এলে ভারতও ছেড়ে কথা বলবে না।

সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকে অংশ নেন রাজনাথ। হাওয়াইয়ে আমেরিকা ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের সদর দফতরেও যান তিনি।

অনুষ্ঠানে লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেন রাজনাথ সিং। বলেন, ভারতীয় সেনাদের তৎপরতা চীনকে কঠোর বার্তা দিয়েছে। কোনো দেশ ক্ষতি করতে এলে তার তাৎক্ষণিক ও দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিং আরও বলেন, ভারত বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ। বিশ্বের পরাশক্তিগুলোও বিষয়টিকে স্বীকার করে।

সীমান্ত বিবাদ ইস্যুতে ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায় ভারত ও চীন সেনারা। ওই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। তবে চীনের কতজন সেনার প্রাণহানি হয়, বেইজিং সেটি এখনো সরকারিভাবে প্রকাশ করেনি।

দুই বছর আগেই সেই সংঘর্ষের পর সীমান্তে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে দুদেশের সেনাদের মধ্যে অন্তত পনেরোবার বৈঠক হয়। প্যাংগং হ্রদ ও গোগরা এলাকা থেকে সেনা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেইজিং ও নয়াদিল্লি। তবে তাতেও কমেনি সীমান্তের চাপা উত্তেজনা।

রাজনাথ সিং বলেন, ভারতের ভাবমূর্তি অনেক বদলে গিয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বের প্রথম তিন অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশের একটি হয়ে উঠবে ভারত।

ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়ে নয়াদিল্লির দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও মন্তব্য করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে কোনো দেশের সম্পর্ক ভালো হলে তার অর্থ এই নয় যে অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হবে। ভারত কখনোই এ ধরনের কূটনীতিতে বিশ্বাসী নয়।

রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয় ভারতের। মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির তেল চুক্তি নিয়ে ইতোমধ্যে ক্ষোভ জানিয়েছে ওয়াশিংটন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন ভারতের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী।