সম্পর্ক জোরদার করতে ভারত সফরে যাচ্ছেন জনসন

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ভারতের সঙ্গে নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে এই সপ্তাহে দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে ভারতের সঙ্গে পাঁচ হাজার কোটি পাউন্ডের বাণিজ্যচুক্তিও হতে পারে। খবর বিবিসি।

সফরে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ মন্ত্রী ও আমলাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।

সেখানে প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হবে। কোভিডের কারণে পূর্ববর্তী সফর স্থগিত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনসনের প্রথম ভারত সফর হবে এটি।

কোভিড আইন ভেঙে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক পার্টিতে অংশ নেওয়ার পরে জনসনের ইস্তফার দাবিতে বিরোধীরা তো বটেই, সরব হয়েছেন তার নিজের দলের এমপিরাও।

সম্প্রতি আয়কর নিয়ে প্যাঁচে পড়েছেন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। তিনি প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, ফলে পরোক্ষে চাপ বেড়েছে বরিসের ওপরেও।

ব্রেক্সিট-পরবর্তী ব্রিটেনে অর্থনীতি নিয়ে আগে থেকেই চাপে ছিলেন বরিস জনসন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যনীতির পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে ব্রিটেন এখন ভারতের সঙ্গে নতুন বাণিজ্যনীতি করতে খুবই আগ্রহী।

গত জানুয়ারিতেই দিল্লি এসেছিলেন ব্রিটেনের বাণিজ্যমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রেভেলিয়ান। ব্রিটেনে তৈরি গাড়ি ও স্কচ হুইস্কি আমদানিতে ছাড় দিক নয়াদিল্লি, এই আর্জি নিয়ে কথাবার্তা চালান তিনি।

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে যুক্তরাজ্য ভারতকে মস্কোর ওপর নির্ভরতা কমাতে রাজি করার চেষ্টা করছে। গত মাসে, পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে

এবং বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি এবং খাদ্য সুরক্ষায় আরও ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করার জন্য ভারত সফর করেছিলেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে ভারত সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করেনি এবং এই ইস্যুতে জাতিসংঘের নিন্দা ভোটে অংশ নেয়নি ভারত।

ভারত সফরের সময় বরিস জনসন ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম রাজ্য গুজরাট সফর করবেন। সেখানে তিনি যুক্তরাজ্য এবং ভারতের মূল শিল্পে একটি বড় বিনিয়োগের পাশাপাশি বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য এবং প্রযুক্তিতে নতুন সহযোগিতার ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতের পক্ষ থেকে ব্রিটেনের কাছে ভিসা ফি কমানো এবং আরও কাজের ভিসা দেওয়ার দাবি জানানো হবে। এখন ব্রিটেনে পাড়ি দেওয়া ভারতীয় ছাত্র ও কর্মীদের প্রায় দেড় লাখ টাকা দিয়ে ভিসার আবেদন জানাতে হয়। অনেক দিন ধরেই সেই ফি কমানোর জন্য লন্ডনের কাছে আরজি জানাচ্ছে নয়াদিল্লি।