যুদ্ধের সমাপ্তি নির্ভর করছে রাশিয়ার ওপর: গুতেরেস

antonio guterres - us united nation

ইউক্রেন যুদ্ধ কতদিন চলবে, তার পুরোপুরি নির্ভর করছে রাশিয়ার সিদ্ধান্তের ওপর। বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আ্যান্তোনিও গুতেরেস।

সিএনএনের সাংবাদিক অ্যান্ডারসন কুপারকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, কেবল বৈঠকের মাধ্যমে এই যুদ্ধের সমাপ্তি টানা সম্ভব নয়। এই যুদ্ধ আসলে তখনই শেষ হবে, যখন রাশিয়া এটি থামাতে আন্তরিক হবে।

তবে তার আগে প্রয়োজন একটি যুদ্ধবিরতি; আর সেটি আসতে পারে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে, যা এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পুতিনের সঙ্গে মুখোমুশি বৈঠক করতে সোমবার রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। পরের দিন পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তার।

যুদ্ধের সমাপ্তি টানার পাশাপাশি ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মারিউপোলসহ দেশটির যেসব অঞ্চল রুশ বাহিনীর দখলে গিয়েছে, সেসব এলাকায় মানবিক সহায়তা প্রদান ও বেসামরিক লোকজনদের সরিয়ে নেওয়া বিষয়ে বৈঠকে রাশিয়ার সহযোগিতা চান জাতিসংঘের মহাসচিব।

জবাবে পুতিন বলেছেন, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা রেড ক্রসের যদি সহায়তা কার্যক্রম ও বেসামরিক লোকজনদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি তত্ত্বাবধান করে, সেক্ষেত্রে মস্কো তাতে আদর্শগত সমর্থন দেবে, সিএনএনকে বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার দু’দিন আগে, ২২ ফেব্রুয়ারি দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ৬৩ তম দিনে পৌঁছেছে এই অভিযান। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন ও তার আশপাশের এলাকা পুরোপুরি দখল করেছে রুশ বাহিনী। এছাড়া দেশটির কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর মারিউপোলের পতনও এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।