চির যৌবন ধরে রাখতে বাঘারপাড়ায় নকিমকে খুন

চির যৌবন ধরে রাখতে Wবাঘারপাড়ার কৃষাণ নকিম উদ্দিনকে খুন করা হয়েছে। কবিরাজের দেয়া তদবিরের ভিত্তিতেই চুয়াডাঙ্গার লিটন মালিথা নৃশংসভাবে এ হত্যাকান্ডটি ঘটায়। পুলিশ কবিরাজ আব্দুল বারেককেও আটক করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, লিটন মালিথা দীর্ঘদিন ধরে যৌন রোগে ভুগছিলেন। এসময় কবিরাজ আব্দুল বারেক তাকে মানুষের পুরুষাঙ্গ, অন্ডকোষ ও চোখের মনি সংগ্রহ করার পরামর্শ দেয়। তারই প্রেক্ষিতে কৃষাণের কাজ করতে এসে কৌশলে গত ২৯ মে রাতে নকিম উদ্দিনকে হত্যা করে পালিয়ে যায় লিটন। পরে পুলিশও কৃষাণ সেজে তদন্তের পর গত ১ জুন দুপুরে লিটন মালিথাকে মানিকগজ্ঞের ঘিওর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তারই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই রাতেই চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কবিরাজ আব্দুল বারেককেও। এসময় পুলিশ নিহত নকিবের পুরুষাঙ্গ, অন্ডকোষ, চোখের মনি এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও রশি জব্দ করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তান্ত্রিক কবিরাজ বারেকের নির্দেশে বিকৃত মানসিকতার লিটন যৌন শক্তি বৃদ্ধি ও চির যৌবন প্রাপ্ত হওয়ার নেশায় দীর্ঘদিন যাবৎ নর-হত্যা পূর্বক পুরুষাঙ্গ, অন্ডকোষ ও চোখের মনি সংগ্রহ করার চেষ্টা করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে কৃষানের কাজ, রিক্সা চালনা করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে হত্যার চেষ্টা ও পুরুষাঙ্গ, অন্ডকোষ ও চোখের মনি সংগ্রহের চেষ্টার একপর্যায়ে ইং ২৬/০৫/২০২২ তারিখে বাঘারপাড়া সাতিয়ানতলা বাজারে এসে কৃষান হিসেবে নিয়োজিত হওয়ার আগে নিহত কৃষান নকিম উদ্দিনের সাথে তার পরিচয় হয়। নকিম উদ্দিনকে টার্গেট করে তার সাথে গৃহস্থ বেনজির আহম্মেদের বাড়ীতে কৃষানের কাজে নিয়োজিত হয়ে ইং ২৯/০৫/২০২২ তারিখ দিবাগত রাতে কবিরাজ বারেকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তার নির্দেশে রশি দিয়ে নকিম উদ্দিনের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে আসামী লিটন। হত্যা পরবর্তী পরিকল্পনা মোতাবেক লিটন নিহত কৃষান নকিম উদ্দিনের পুরুষাঙ্গ ও অন্ডকোষ কর্তন ও ডান চোখের মনি নিয়ে পালিয়ে যায় লিটন।

আসামী লিটন আরো জানায়, ইতোপূর্বে তান্ত্রিক কবিরাজ বারেক তাকে যৌন শক্তি বৃদ্ধির প্রলোভন দেখিয়ে লিটনের সাথে একাধিকবার সম-কামি যৌন সঙ্গম করে বিকৃত মানসিকতা সৃষ্টি করেন। এর পর থেকে কবিরাজ বারেকের নির্দেশে লিটন বিভিন্ন পুরুষ ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক করে প্রকৃতির নিয়মের বাহিরে যৌন সঙ্গম করে এবং পরিকল্পনা মোতাবেক পুরুষাঙ্গ, অন্ডকোষ ও চোখের মনি সংগ্রহের নিমিত্তে নর-হত্যার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে।