সীতাকুণ্ডে আগুন নেভাতে দেরি কেন জানালেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুন ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় পরেও কেন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি, তার কারণ জানালেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

রোববার সকালে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় মো. মাইন উদ্দিন এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কন্টেইনারের ভেতরে বিপুল পরিমাণ কেমিকেল রয়েছে। কিন্তু কোন কনটেইনারে কি কেমিকেল আছে সেটা আমাদের জানা নাই। একেকে কেমিকেলের ধরন একেকরকম। এজন্য আমাদের আগুন নেভাতে বেশ সময় লাগছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানান, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি বিশেষায়িত দল ডাকা হয়েছে, যারা কেমিকেলের আগুন নেভাতে বিদেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন।

তিনি জানান, আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫ জন কর্মী নিহত হয়েছেন, ২১ জন কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ছয় জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৫ জন চট্টগ্রাম সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে একজন মনিরুজ্জামান (৩২)। রোববার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ শনাক্ত তার মামা।

মনিরুজ্জামান সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন। কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার শামসুল হকের ছেলে তিনি।

মীর হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে ভাগনের লাশ শনাক্ত করেছি। তার দুই বছরের একটি মেয়ে আছে। মনিরুজ্জামান আমার বড় বোনের ছোট ছেলে।

তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার আমার সঙ্গে সর্বশেষ দেখা হয়েছিল। তার কর্মস্থল কুমিরায় গিয়েছিলাম। ছবিও তুলেছি। একসঙ্গে খেয়েছি। ৭-৮ বছর হয়েছে চাকরিতে যোগ দিয়েছে। দুই মাস আগে বদলি হয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে আসে। এর আগে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ছিল। তার স্ত্রী-সন্তান গ্রামের বাড়ি নাঙ্গলকোটে থাকে।