ঘণ্টা কয়েক আগে ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাত ‘চাইলেই সমাধান করে দেওয়ার’ কথা বললেও এবার দুই দেশের যুদ্ধে ‘যুক্তরাষ্ট্র জড়াতে পারে’ বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
এর আগেও তিনি তার বক্তব্যের পরিবর্তন করেছিলেন।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, চলমান এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে’। এটা সম্ভব যে আমরা এতে জড়াতে পারি।
যদিও তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, এই মুহূর্তে আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) সরাসরি এই সংঘাতে জড়িত নই।
এ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যস্থতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, তিনি (পুতিন) বিষয়টি নিয়ে ‘খোলা মনে’ ভাবছেন। পুতিন প্রস্তুত। তিনি আমাকে ফোন করেছিলেন। আমরা দীর্ঘ সময় ধরে এ নিয়ে কথা বলেছি।
এর আগে ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন— ‘আজ (শনিবার) রাতে ইরানে যে হামলা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে যদি ইরান আমাদের ওপর যেকোনোভাবে—সরাসরি বা পরোক্ষভাবে—আক্রমণ চালায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী এমন শক্তি প্রয়োগ করবে, যা ইতিহাসে কখনও দেখা যায়নি।
আমরা চাইলে খুব সহজেই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি করিয়ে দিতে পারি, এবং এই রক্তাক্ত সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারি। ’
ট্রাম্পের এই বক্তব্যের ব্যাপারে ইরান আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে জড়ানোর বিষয়ে প্রেসিডেন্টের দেওয়া বক্তব্য নিয়েও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
এর আগে অবশ্য দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র—দুই দেশকেই ‘মূল্য চুকাতে’ হবে।