শনিবার (১৪ জুন) মধ্যরাতে ইসরায়েলে ৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। এ হামলায় বাট ইয়াম ও তামরা শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নিহত হয়েছেন ১০ ইসরায়েলি।
রোববার (১৫ জুন) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল ও আইডিএফ রেডিওর বরাত দিয়ে নিজেদের লাইভ আপডেট প্রোগ্রামে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, শনিবার মধ্যরাতে ইরান ইসরায়েলের দুটি শহরে হামলা চালায়। প্রথম দফায় ছোঁড়া ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে একটি আঘাত হানে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত উত্তর ইসরায়েলের তামরা শহরে। শহরটি ইসরায়েলের উত্তর অংশে অবস্থিত। সেখানে চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
ইসরায়েলে ইরানের দ্বিতীয় দফার হামলাটি ছিল প্রথমটি থেকে ভয়াবহ। ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলাটি হয় ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরণ ঘটে বাট ইয়ামে। সেখানে নিহত হন ছয়জন; আহত হন অন্তত ২০০ জন।
আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র রেহোভোতের একটি এলাকায় বিস্ফোরিত হলে সেখানে অন্তত ৪০ জন আহত হন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলার পাশাপাশি অন্তত সাতটি ড্রোন ইসরায়েলের আকাশসীমার দিকে আসার সময় সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।
ইরান এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে অবশ্য ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, ইরানি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে তারা ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের দিকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
