চমেকের ডাক্তার-নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

সীতাকুণ্ড বিএম টার্মিনালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসাপতাল কর্তৃপক্ষ। রাতের শিফটে যেসব ইন্টার্ন চিকিৎসকের ছুটি ছিল তা বাতিল করা হয়। এছাড়া মেডিক্যালের স্টোর খুলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ নিয়ে আসা হয় হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিটে।

এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রাজীব পালিত বলেন- ‘ডাক্তার, নার্সসহ অন্যান্য যারা রাতের ডিউটিতে ছিলেন না তারাও হাসপাতালে এসে যোগ দিয়েছেন। হাসপাতালের স্টোর খুলে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা উপকরণ নিয়ে আসা হয়েছে। চিকিৎসার যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় ৪ শতাধিক দগ্ধ ও আহত হয়েছেন। তবে আহতদের মধ্যে ৪০-৫০ জনের অবস্থা গুরুতর। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজীব পালিত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকায় অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে (সাবেক কাশেম জুট মিল) লোডিং পয়ন্টের ভেতরে আগুন লাগে। প্রথমে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পুলিশের সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও শ্রমিকসহ ৪ শতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হন।