সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে: দগ্ধ ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজমের মৃত্যু

 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোয় অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর আহত ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম মারা গেছেন। এ নিয়ে অগ্নি দুর্ঘটনায় ১০ জন ফায়ার ফাইটার মারা গেছেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন।

 

শনিবার (১১ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

 

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার।

 

তিনি বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত গাউসুল আজম মারা গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় তিনি মারা যান।’

 

 

 

গাউসুল আজম আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার দেহের ৭০ শতাংশই দগ্ধ ছিল। দুইদিন আগে আজমের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়। কিন্তু শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে আবারও লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় তাকে।

 

ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের মধ্যে অর্ধশতাধিক চট্টগ্রাম মেডি্যিাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন ১৬ জন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ডিপোর কিছু কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটে। পরে সেনাবাহিনীর একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হলো ৪৭ জন।