কুড়িগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলায় ৬ জেএমবি সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। মৃত্যুদণ্ড হওয়া আসামিরা হলো- জাহাঙ্গীর ওরফে রাজিব ওরফে রাজীব গান্ধী, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী, গোলাম রাব্বানী, হাসান ফিরোজ ওরফে মোখলেস, মাহবুব হাসান মিলন ওরফে হাসান, আবু নাসির ওরফে রুবেল। রিয়াজুল ইসলাম ছাড়া অন্য আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নান এই রায় দেন। রায় ঘোষণার পর বিশেষ নিরাপত্তায় দণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্যদের কারাগারে পাঠানো হয়।
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১ হাজার ৩১৯ করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১ হাজার ৩১৯
আলোচিত এই হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বিস্ফোরক আইনে জাহাঙ্গীর ওরফে রাজীব গান্ধী, গোলাম রাব্বানী ও হাসান ফিরোজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক। এছাড়া বিস্ফোরক আইনের অন্য ধারায় এই তিনজনকে আবারও ২০ বছরের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন ও আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির।
রায় ঘোষণা পর নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীর একমাত্র ছেলে মামলার বাদী রুহুল আমিন আজাদ স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ সময় পর হলেও মামলার রায়ে আমরা খুশি। আমরা চাই দ্রুত আদালতের এই রায় কার্যকর করা হোক।
২০১৬ সালের ২২ মার্চ কুড়িগ্রাম শহরের কৃষ্ণপুর গাড়িয়াল পাড়ায় প্রাতঃভ্রমণে বের হন ওই এলাকার বাসিন্দা ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী। সকাল ৭টার দিকে ওই এলাকার আশরাফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে হোসেন আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে জেএমবি সদস্যরা।