যশোরে পরকিয়ার জের ধরে একরামুলকে হত্যা করা হয়

monirampur jessore map

মামীর সাথে পরকিয়া করায় মণিরামপুর উপজেলার ভরতপুরের একরামুলকে হত্যা করা হয় বলে আটক হেলাল উদ্দিন আদালতকে জানিয়েছে। নিহত একরামুলের মামা কামরুল ও আমিনুর রহমান এই হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। লাশটি গুম করতে হেলাল সহযোগিতা করেছিল।

২৩ জুন বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আসামি হেলালকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।

আটক হেলাল উদ্দিন একই উপজেলার ষোলখাদা গ্রামের আবু কালঅম দফাদারের ছেলে। হেলাল উদ্দিন জানিয়েছে, মামা কামরুল উসলামের স্ত্রীর সাথে একরামুলের পরোকিয়া সম্পর্ক ছিল। কামরুল এই নিয়ে তাকে একাধিকবার নিষেধ করলেও বিষয়টি সে কর্ণপাত করে নাই।

চলতি বছরের ২৮ মার্চ রাতে একরামুলকে হত্যার বিষয়টি মোবাইল করে হেলালকে জানায় তার মামা আমিনুর রহমান ও কামরুল ইসলাম। এরপর ইকরামুলের লাশটি তারা বস্তায় ভরে মোটরসাইকেলে কের হেলালের গ্রামের নিয়ে যায়। ওই রাতেই তারা তিনজন মদনপুর শৈলীর মাঠের একটি পুকুর পাড়ে গর্ত করে একরামুলের লাশ মাটি চাপা দিয়ে রেখেছিল।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, একরামুল চলতি বছরের ২৮ মার্চ রাতে নিখোঁজ হয়। এই ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে মণিরামপুর থানায় জিডি করা হলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ৩০ মার্চ কামরুল ও তার ভাই আমিনুর রহমানকে আটক করে। আটকের পর তারা দুই ভাই একরামুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে। তাদের স্বীকারোক্তিতে একরামুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এব্যাপারে একরামুলেল চাচা আসাদুজ্জামান আটক দুইজনসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই সৈয়দ রবিউল ইসলাম আটক দুইজনকে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপরে তারা আদালতে স্বেচ্ছায় হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হেলালকে আটক ও রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেন তদন্তক কর্মকর্তা। হেলাল নিহত একরামুলের লাশ গুমের ব্যাপারে দুই মামাকে সহযোগিতা করেছিল বলে জানিয়েছে।