শনিবার সকাল ৯টা থেকে টাউন হল মাঠের অনুষ্ঠানস্থলে সমবেত হতে থাকেন জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, যশোরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কাউটসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঐতিহাসিক টাউন হল মাঠের রওশন আলী মঞ্চে স্থাপন করা হয় বিশাল এলইডি মনিটর। পদ্মার পাড় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করেন যা মনিটরের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন যশোরবাসী। আনন্দে আপ্লুত হয়ে জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে টাউন হল মাঠ প্রাঙ্গন। সরাসরি অনুষ্ঠান শেষ করে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলামের নেতৃত্বে বেলুন উড়িয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে নানা আয়োজনের শুভ সুচনা করা হয়। যা এখনো চলমান রয়েছে। রাতে টাউন হল মাঠে ফোটানো হবে আতশবাজি।
এদিকে, বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় যশোর শহরের গাড়িখানা রোড থেকে পদ্মা সেতুর সাফল্য কামনা করে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের নেতৃত্বে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে আনন্দ মিছিলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়। বেলা তিনটায় জেলা পুলিশের আয়োজনে আলোচনা ও বর্ন্যাঢ্য র্যালীর অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের নেতৃত্বে বিশাল র্যালীটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে গান-বাজনার তালে তালে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের যশোরের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ বক্তব্য দেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন তমিজুল ইসলাম খান জানিয়েছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগসহ সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো দিনভর নানা কর্মসূচি পালন করবে। সন্ধ্যা ৭টায় টাউন হল মাঠের শতাব্দী বটমূল প্রাঙ্গণে পদ্মা সেতুর থিম সং পরিবেশন করবেন স্থানীয় ও ঢাকার অর্ধশতাধিক শিল্পী। রাত ৯টায় যশোরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ভবনে আলোকসজ্জার উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে শহরব্যাপী লাগানো হয়েছে নানা রঙের ফেস্টুন, ব্যানার ও বিলবোর্ড। এক কথায় উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে যশোর শহর।