যশোরে আলাদা যৌতুক মামলায় দুইজনের ৫ বছর কারাদন্ড

mamla rai

যশোরে আলাদা যৌতুক মামলায় দুইজনকে পাঁচবছর সাজা দিয়েছে যশোরের পৃথক আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, চৌগাছার মুক্তারপুর গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে গোলাম রসুল সজন ও নড়াইল কালিয়ার পুরুলিয়া গ্রামের টগর মোল্যার ছেলে লিটন মোল্যা। তারা দুইজনেই পলাতক রয়েছেন।
মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরমান হোসেন আলাদা রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে,২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর আসামি লিটন বাঘারপাড়ার নওয়াপাড়া গ্রামের সেলিম হোসেনের মেয়ে আকেয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের এক মাস যেতে না যেতে আসামি লিটন তার স্ত্রীর কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন শুরু করেন। ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল আসামি লিটন যৌতুকের টাকা না পেয়ে তার অন্তসত্তা স্ত্রীকে পিতার বাড়ি রেখে যায়। ৩০ মে লিটনকে ডেকে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আকেয়া খাতুন বাদী হয়ে ১৪ জুলাই আদালতে মামলা করেন। এ মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি লিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে দুই বছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।

অপরদিকে, ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আসামি সুজন শার্শা থানার শার্শা গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে তন্নিমা খাতুনকে বিয়ে করেন। একটি সন্তান জম্মের পর আসামি সজন ঘরের ছাদ দেয়ার কথা বলে তার স্ত্রীর কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি আসামি সজন তার স্ত্রীকে পিতার বাড়ির জমি বিক্রি করে যৌতুকের দুই লাখ টাকা এনে দিতে বলেন। তন্নিমা যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার কারায় তাকে মারপিট করে সন্তানসহ পিতার বাড়ি তাড়িয়ে দেন। ২০ জানুয়ারি তন্নিমা খাতুন বাদী হয়ে সজনের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেণ। এ মামলায় আসামি সজনকে বিচারক তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড চার হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। #