যশোরে কলেজ শিক্ষার্থীকে জোর পূর্বক অপহরণের অভিযোগে মামলা

mamla rai

রিকশা থামিয়ে মায়ের কাছ থেকে প্রকাশ্যে হত্যার উদ্দেশ্যে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে অপহরণ পূর্বক মুক্তিপনের দাবি অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন, যশোর সদর উপজেলার সিতারামপুর গ্রামের ইসহাক হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ তাছলিমা খাতুন। মামলায় আসামী করেছেন, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে তামিম হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন।

মামলায় তাছলিমা খাতুন উল্লেখ করেন,তার মেয়ে তহমিনা ইসলাম ইমি যশোর কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তাকে আসামী তামিম হোসেন বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল এবং তার সাথে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব প্রদান করতো। ইমি আসামীর কু-প্রস্তাবে রাজী না হলে বিভিন্ন প্রকান হুমকী প্রদান করতে থাকে। ইমি ঘটনার ব্যাপারে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে তার মায়ের সাথে খুলে বলে। মা মেয়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মাঝে মধ্যে মেয়েকে নিয়ে কলেজে যাওয়া আসা করতেন।

গত ২৮ মে বাদি তার মেয়েকে নিয়ে কলেজে যাওয়ার পথে মেয়ের দেখানো মতে আসামী তামিম হোসেনকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পেয়ে বাদিনী আসামীকে অনুরোধ করে এবং তার মেয়েকে রাস্তাঘাটে বিরক্ত না করার জন্য অনুরোধ করেন। ওই সময় আসামী বাদিনীকে লক্ষ্য করে বলেন তার মেয়েকে তুলে নিয়ে গুম করে ফেলবে। বানিদী এরুপ কথা শুনে ঘটনার সাক্ষী গোলাম মোস্তফাকে সকল ঘটনা খুলে বলে। গত ৬ জুন বাদিনী তার মেয়েকে নিয়ে বাড়ি হতে কলেজে যাওয়ার জন্য বের হয়।

সকাল সাড়ে ১০ টায় বাদিনী তার মেয়েকে নিয়ে রিকসা যোগে মুড়োলী টু বেনপাপোল মহাসড়কের মোবারককাঠি গ্রামের সন্যাসী বটতলা নামকস্থানে পৌছালে তামিম হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বাদিনীর রিক্সার গতিরোধ করে তার মেয়েকে মায়ের পাাশ থেকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেট কারে উঠানোর চেষ্টা কালে বাদিনী ঠেকাতে গেলে তাকে আসামীরা এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে মেয়েকে জোর পূর্বক সাদা রংয়ের প্রাইভেট কারে উঠিয়ে দ্রুত বেনাপোলের দিকে চলে যায়।

যাওয়ার সময় আসামীরা বাদিনীকে বলে বেশী বাড়াবাড়ি করলে খুন জখম করে লাশ গুম করে দিবে। ঘটনার পর বাদিনী তৎক্ষনিক মোবাইল ফোনে তার ভাইকে জানালে অন্যান্যরা খবর পেয়ে বাদিনীর মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা করে করে ব্যর্থ হয়। অপহরণের জ্জ দিন পর হঠাৎ একটি মোবাইল নাম্বার থেকে থেকে বাদিনীর মোবাইল নাম্বারে রেফান করে জানায় বাদিনীর মেয়ে তাদের হেফাজতে আছে।

বাদিকে এই বিষয় নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকী প্রদান করে। বাদিনী আসামীর নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা গ্রহন না করায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ দায়ের করার পর বিজ্ঞ আদালতে বিচারক কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে মামলা করতে আদেশ দিলে থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেন।