সাকিবের ফিফটির পরও বিশাল হার বাংলাদেশের

চোখে ভিড় করা ঘুম তাড়ানোর উপায় কেবল বিনোদনদায়ী ক্রিকেট। কিন্তু ফরম্যাট গুলিয়ে খেলা বাংলাদেশ চিরচেনা ব্যাটিংই করল। টি-২০ খেলল টেস্টের মতো করে। সাকিব ফিফটি পেলেও তা কখনও জয়ের আশা জাগায়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৯৪ রান তাড়া করতে নেমে টাইগাররা হেরেছে ৩৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।

দুই টেস্টের মতো প্রথম দুই টি-২০ ম্যাচের টস জিততে পারেনি বাংলাদেশ। আংশিক মেঘলা আকাশ বৃষ্টি ঝরায়নি। ক্যারিবীয় অধিনায়ক নিকোলাস পুরান তাই শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে তারা উইকেট হারালও চতুর্থ উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়ে।

ফিরে যাওয়ার আগে পুরান ৩০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। তার সঙ্গে জুটি গড়া ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ৪৩ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৫৭ রান করেন। অন্য প্রান্ত দিয়ে ঝড় দেখান রোভম্যান পাওয়েল। টি-২০’র সহ-অধিনায়ক হওয়া পাওয়েল ২৮ বলে ৬১ রানের তাণ্ডব দেখান। ছয়টি ছক্কা ও দুটি চার মারেন।

জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে দুই ওপেনার লিটন দাস ও এনামুল হক ফিরে যান। তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন ৭ বলে ১১ করা অধিনায়ক মাহমুদল্লাহ। এরপর আফিফ ও সাকিব ৫৫ রানের জুটি গড়েন। ওই জুটিতে আফিফের অবদান ২৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৪।

তিনে নামা সাকিব আল হাসান ইনিংস শেষ করে ওঠেন। তবে খুব বড় রান করতে পারেননি তিনি। শুরুতে বলে বলে রান তোলা বাঁ-হাতি ব্যাটার ৫২ বলে ৬৮ রান করেন। পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন। এছাড়া মোসাদ্দেক ১৫ রান করেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ভালো বোলিং করেছেন রোমারিও সেইফার্ট। তিনি ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। অবেদ ম্যাকই ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এছাড়া ওডেন স্মিথ ও আকিল হোসাইন একটি করে উইকেট নেন।

বাংলাদেশের বোলাররা ছিলেন খরুচে। ইনজুরি থেকে ফেরা তাসিকন ৩ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে উইকেট শূন্য। শরিফুল ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া সাকিব ও শেখ মাহেদি ৪ ওভারে যথাক্রমে ৩৮ ও ৩১ রান দিয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন। এক ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১ রান দিয়ে মোসাদ্দেক নেন একটি উইকেট। সিরিজের শেষ টি-২০ আগামী ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।