ঢাবি ‘ক’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.৩৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের অধীনে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

সোমবার (৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল প্রকাশ করেন।

এ বছর ‘ক’ ইউনিটে আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৮৯ জন। এরমধ্যে অংশগ্রহণ করেছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৩৭৪ জন। যেখানে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। ভর্তির যোগ্য বিবেচিত ১১ হাজার ৪৬৬ জনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত এক হাজার ৮৫১ জন মেধাক্রম অনুযায়ী বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

ফল জানা যাবে যেভাবে- ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবে। এছাড়া রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক অথবা টেলিটক নম্বর থেকে DU KA <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে এসএমএস পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানা যাবে।

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগামী ৬ জুলাই বিকাল ৩টা হতে ২১ জুলাই বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারীদের ১৭ জুলাই হতে ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম ফার্মেসি অনুষদের ডিন অফিস হতে সংগ্রহ করতে হবে এবং যথাযথভাবে পূরণ করে উক্ত সময়ের মধ্যে ডিন অফিসে জমা দিতে হবে।

ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য ১০০০ (এক হাজার) টাকা ফি প্রদান সাপেক্ষে আগামী ৬ জুলাই হতে ২১ জুলাই পর্যন্ত ফার্মেসি অনুষদের ডিন অফিসে আবেদন করা যাবে।

উল্লেখ্য, ‘ক’ ইউনিটে এক হাজার ৮৫১ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিল এক লাখ ১৫ হাজার ৬৮৯ জন। সেই হিসাবে প্রতি আসনের জন্য ভর্তিযুদ্ধে লড়েন ৬২ শিক্ষার্থী, যেখানে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে প্রতি আসনের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৪৮।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের অধীন বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ফার্মেসি, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে ৩৩টি বিভাগ রয়েছে।