যবিপ্রবির তিন শিক্ষর্থীকে আটকে রেখে চাঁদাবাজির ঘটনায় মাসুদ রানার রিমান্ড

mamla rai

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে চাঁদা আদায়ের আদায়ের ঘটনায় আটক মাসুদ রানার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে মঞ্জুরুল ইসলাম আসামির রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন। মাসুদ রারা সদরের চুড়ামনকাটি গোবিলা এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যবিপ্রবির অনার্স ১ বর্ষের ছাত্র জহিরুল ইসলাম তার দুই বান্ধবী একই বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেরিন আফরোজ ও মাহমুদা খাতুন ২৬ জুন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেলতলা নামক স্থানে ঘুরতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বেলতলায় পৌঁছালে অপরিচিত কয়েক যুবক তাদের আটকে রাখে এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে তার কাছে ২০ হাজার টাকা এবং দুই বান্ধবীর কাছে আরো ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। এ সময় তার তিনজন তাদের মোবাইলের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে আসামিদের দেয়া বিকাশ অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার পাঠান। এরপর দুই বান্ধবীও তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা দেয়। ওই টাকা নেয়ার পর কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে জহিরুল ইসলাম স্থানীয় কয়েকজনকে জানিয়ে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। গত বুধবার দিবাগত রাতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মাসুদ রানাকে বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এসআই সেলিম হোসেন আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। বুধবার আসামির রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।