ঈদে হানিফ সংকেতের নাটক ‘রটে বটে-ঘটে না’

প্রতিবারের মত এবারও ঈদের নাটক নির্মাণ করেছেন বরেণ্য নির্মাতা হানিফ সংকেত। নাটকের নাম ‘রটে বটে-ঘটে না’। প্রতিবছর দুই ঈদে দু’টি নাটক নির্মাণ করেন তিনি। বরাবরের মতো এবারও তার নাটকের নাম বেশ ব্যতিক্রমী এবং ছন্দময়।

শুধু নামই নয়, তার গল্পেও পাওয়া যায় আলাদা স্বাদ ও বৈচিত্র্য। পাশাপাশি নাটকে থাকে একটি সামাজিক বক্তব্য। যে কারণে হানিফ সংকেতের নাটক দেখার জন্য দর্শকদের বাড়তি আকর্ষণ থাকে। ইদানিংকালের অধিকাংশ নাটকে বাবা-মাকে খুঁজে পাওয়া না পেলেও হানিফ সংকেতের অধিকাংশ নাটকেই থাকে বাবা-মায়ের চরিত্র। থাকে পারিবারিক ও সামাজিক চিত্র। নাটকের নাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রটে বটে অনেক কিছুই, খুঁজলে আসল ঘটনা, আপনজনে বুঝতে পারে, কোনটা মিথ্যে রটনা।’

এবার ঈদেও গান শোনাবেন মাহফুজুর রহমানএবার ঈদেও গান শোনাবেন মাহফুজুর রহমান
সুতরাং অনেক কিছু রটে বটে কিন্তু ঘটে না। এক‌ি ট পরিবারের একমাত্র সন্তান সম্পর্কে নানা রটনা এবং তা থেকে অনেক ঘটনার জন্ম নেয়। সমসাময়িক এই নাটকটির বিভিন্ন দৃশ্যে বন্যায় অসহায় মানুষের ভোগান্িত, আমাদের মূল্যবোধ ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা ফুটে উঠেছে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে নাটক ‘রটে বটে-ঘটে না’-এর গল্প। নাটকটির ধারণ করা হয় মিরপুরের ফাগুন অডিও ভিশনের নিজস্ব কমপ্লেক্সে। বলা যায় প্রতিবারের মতো এটিও একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে-পারিবারিক গল্পের নাটক। যেখানে মা-বাবা, ভাই-বোন, দুলাভাইয়ের মতো পরিবারের প্রিয় চরিত্রগুলো রয়েছে।

নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, তানিয়া আহমেদ, ইরফান সাজ্জাদ, সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, কাজী আসাদ, জিল্লুর রহমান, জাহিদ শিকদার, মতিউর রহমান মতি, আনোয়ার শাহী, সাজ্জাদ সাজু, মোনালিসা দিপা, নজরুল ইসলামসহ আরো অনেকে। নাটকের সূচনা সংগীতের কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী, কণ্ঠ দিয়েছেন পুলক অধিকারী ও রিয়াদ। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন হানিফ সংকেত। নাটকটি প্রচারিত হবে ঈদের দিন রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে এটিএন বাংলায়।

উল্লেখ্য, ঈদের নাটকের ভিড়ে সবাইকে সব চ্যানেলে একাধিকবার দেখা গেলেও ঈদের দিন হানিফ সংকেত এর নাটক দেখা যায় শুধুমাত্র একটি চ্যানেলে আর তা এটিএন বাংলায়। এটিএন কতৃ‌র্পক্ষ জানায়, প্রতিবারই হানিফ সংকেতের নাটকে দর্শক থাকে বেশি। ঈদের দিনের ব্যস্ততা সত্ত্বেও দর্শকরা পরিবার নিয়ে এই নন্দিত নির্মাতার নাটক দেখতে বসেন। তাই তাদের বিশ্বাস বরাবরের মতো এবারও এ সময় এটিএন বাংলার দর্শক থাকবে সবচেয়ে বেশি