টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের কারণ জানালেন লিটন দাস

 

ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে এখন পর্যন্ত প্রাপ্তির খাতা শূন্য বাংলাদেশের। টেস্টে হোয়াইটওয়াশের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও ২-০ তে খোয়া গেল। লজ্জা থেকে বাঁচালো বৃষ্টি। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে রক্ষা পেয়েছে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।

বৃহস্পতিবার রাতে গায়ানায় দশ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে ক্যারিবীয়রা।

এই ম্যাচেই বাংলাদেশ দল ভালো ব্যাটিং করেছে। ওপেনার লিটন দাসের ৪১ বলে ৪৯ আর অলরাউন্ডার আফিফ হোসেনের ৩৮ বলে ৫০ রানের দারুণ ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান জমা করে বাংলাদেশ।

কিন্তু ক্যারিবীয়দের কাছে এ লক্ষ্যও কঠিন কিছু ছিল না। অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ৩৯ বলে ৭৪ ও কাইল মায়ার্স ৩৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে পৌঁছে দিয়েছেন জয়ের বন্দরে।

তার দেখিয়ে দিয়েছেন, টি-টোয়েন্টিতে আরো মারমুখী হয়ে খেলতে হয়। পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে হয়। প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হতে হয় ব্যাটারাদের।

ম্যাচ শেষে নিজেদের সেসব ব্যর্থতার কথা অকপটে স্বীকার করলেন লিটন দাস। জানালেন, বিশ্বমানের টি-টোয়েন্টি খেলা থেকে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

লিটন দাস বললেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ভালো দলগুলো থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে। আমাদের অনেক জায়গায় কাজ করার আছে। বিশেষ করে আমরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারি না। অনেকে বলে টি-টোয়েন্টি স্কিলের খেলা, টেকনিক-ট্যাকটিকের খেলা। তবে আমার মনে হয়, অনেক সময় পাওয়ার হিটিংটাও দরকার পড়ে। এই জিনিসটায় আমরা অনেকখানি পিছিয়ে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটের কোনো দোষ দিলেন না লিটন। বললেন, ‘আমরা খুব একটা ভালো ব্যাটিং করিনি। প্রথম ম্যাচেও না, দ্বিতীয় ম্যাচেও না। যে কন্ডিশনে আমরা খেলেছিলাম, ব্যাটিং সহায়কই ছিল।’

এ্ উইকেটকিপার ব্যাটার বলেন, ‘আমরা যদি ওপেনিং থেকে দায়িত্বটা পালন করতে পারতাম, তাহলে পরের ব্যাটাররা মন খুলে খেলতে পারতো। আমার মনে হয়, আমাদের দুই-তিনটি ইনিংসের ব্যর্থতার কারণেই জিনিসটা ওভাবে গুছিয়ে নেওয়া যায়নি। আমার কাছে (ব্যর্থতার কারণ) এ জিনিসটিই মনে হয়েছে।’