পৌরমেয়র বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগে ৭ কাউন্সিলরের যশোরে সংবাদ সম্মেলন

যশোরের বাঘারপাড়া পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ৭ জন কাউন্সিলর সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রোববার দুপুরে প্রেসক্লাবা যশোরে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কাউন্সিলররা তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলরদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সরদার মো. শহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাঘারপাড়া পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চু একজন দুর্নীতিবাজ, সুবিধাবাদী। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সে পৌরসভার কাউন্সিলরদের উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে পৌরসভা পরিচালনা করছেন। তার এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাউন্সিলররা প্রতিবাদ করে আসলেও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। বরং দিনকে দিন তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বাচ্চুর বিরুদ্ধে কাউন্সিলরা সুনির্দিষ্ট ১৪ টি অভিযোগ তুলে ধরেন। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে আইইউআইডিপির আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে কাজের মেয়াদ শেষ হলেও মেয়রের গাফিলতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আজও সে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। একই অবস্থা এডিপির ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বরাদ্দের ক্ষেত্রে। এই দুই অর্থবছরের এডিপির বরাদ্দের নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারেননি তিনি। যেকারণে উন্নয়ন বি ত পৌর নাগরিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন।

এছাড়া মেয়র পৌরসভার দাপ্তরিক কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্বদা আত্মীয়করণ করে আসছেন। পৌরসভার অনুকুলে যে ঠিকাদারি লাইসেন্স প্রদান করা হয় তা নবায়নের ক্ষেত্রে নিজ পছন্দনীয় লোকের পাশাপাশি আত্মীয়দের ছাড়া কারোর নামে নবায়ন করেননি।

কাউন্সিলররা জানান, মেয়র পৌরসভার অবস্থিত নিজ বাসায় উপস্থিত থাকা সত্বেও আইন ভঙ্গ করে পৌরসভার প্যানেল মেয়র শরিফুল ইসলামকে দিয়ে জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদপত্র, ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন কাগজে স্বাক্ষর করেন। এসব বিষয়ে তার কাছে অন্যান্য কাউন্সিলররা জানতে চাইলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। নিয়মিত মিটিং না করে উল্টো পরবর্তী মিটিংয়ের স্বাক্ষর করে নেন কাউন্সিলরদের। অভিযোগে বলা হয়, প্রতি মাসে মাসিক মিটিংয়ের রেজুলেশন ও সিদ্ধান্তের কপি কাউন্সিলরদের দেয়ার কথা থাকলেও মেয়র তা না দিয়ে কাউন্সিলরদের উপেক্ষা করে প্যানেল মেয়রের সাথে যোগসাজসে সব কাজ করেন। এমনকি কোনো কাগজপত্র চাইলে তিনি গালিগালাজ করেন।
গংবাদ সম্মেলনে ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরদার মো. শহিদুল ইসলাম ছাড়াও আরও যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন, পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফয়সাল আহম্মেদ, ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইব্রাহিম আলম, ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওলিয়ার রহমান, ১.২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর সম্পারানী সরকার, ৪.৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর নমিতা স্বর্মা ও ৭.৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর মোছা. তাসলিমা খাতুন।