যশোরে সন্ত্রাসীদের হামলা নগদ টাকা ও স্বর্ণ লুটের ঘটনায় মামলা

mamla rai

জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিবেশী চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এক বাড়িতে হামলা চালিয়ে গালিগালাজ করার এক পর্যায় মারপিট করে নগদ টাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে শ্লীলতাহানী ঘটানোর অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

বুধবার গভীর রাতে মামলাটি করেন যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর ফকিরপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা খানের ছেলে ইলিয়াস খান। আসামীরা হচ্ছে,প্রতিবেশী আজিত খানের ছেলে ফয়সাল খান,মৃত রশিদ খানের ছেলে নুর ইসলাম খান ও দ্বীন ইসলাম, লতিফ খানের ছেলে আজম খান, গোলাম মোস্তফা খানের ছেলে আবজাল খানসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।
মামলায় ইলিয়াস খান বলেছেন,জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে সৃষ্টি করে উল্লেখিত আসামীরা দীর্ঘধিন ধরে বাদি ও তার পরিবারের লোকজনদের মারপিট খুন জখমের হুমকী দিয়ে আসছে।

ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৩ জুলাই বিকেল ৬ টায় আসামীরা হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ধারালো দা,লোহার রড,বাঁশের লাঠি নিয়ে বাদির বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে বাদি ও তার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তখন বাদির স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩০) গালিগালাজ করতে বাঁধা নিষেধ করলে আবজাল খানের হুকুমে অন্যান্য আসামীরা তানিয়া বেগমকে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ীভঅবে আঘাত করে জখম করে। ঘটনাটি দেখে বাদি ঠেকানোর চেষ্টা করলে নুর ইসলাম খান ও দ্বীন ইসলাম লোহার রড ও বাঁশে লাঠি দিয়ে বাদির হাতে,পায়ে বুকে,পিঠে মাথায় আঘাত করে জখম করে।

ফয়সাল খান বাদির মাথা লক্ষ্য করে ধারালো দা দিয়ে কোপ মারলে বাদি হাত দিয়ে ঠেকাতে উক্ত কোপ তালুকে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। ফয়সাল খান বাদির স্ত্রী তানিয় বেগমের পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন নুর ইসলাম কেড়ে নেয়। সকল আসামীরা বাদির ঘরের মালামাল তছনছ করে এবং তোষকের নীচে থাকা নগদ ২০ হাজার ৫শ’ টাকা দ্বীন ইসলাম নিয়ে নেয়। এ সময় বাদি ও তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা হুমকী দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় বাদি ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।