সংকট থেকেই নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করব: পলক

চলমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সংকট থেকেই আমরা নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করব এবং সংকট মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে আমরা সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যাব।

আজ বুধবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে প্রযুক্তিগত সমাধানের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে “বিজনেস কন্টিনিউটি প্ল্যান ফর পাওয়ার ক্রাইসিস ২০২২” বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনলাইনে অনুষ্ঠিত সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য দেশের সকল নাগরিকের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, তাঁর এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিদ্যুৎ বা জ্বালানি নয়, প্রত্যেকটি জায়গায় আমাদের সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হওয়ার বিষয়ে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে।

পলক বলেন, দেশের সংকটকালীন আমরা প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দক্ষ নির্দেশনা ও নেতৃত্বে সঠিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমসহ করোনাকালীন দুই বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসনিক, বাণিজ্যিক ও বিচারিক কার্যক্রমসহ সকল বিষয়ে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সেই পরিস্থিতিগুলোকে মোকাবিলা করতে অনেকাংশে সফল হয়েছি।

তিনি বলেন, বর্তমান যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংকট এবং অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আমরা রয়েছি তা কত ভালোভাবে মোকাবিলা করা যায় এবং সংকটের মধ্যে থেকেও প্রযুক্তিকে কতটা ভালোভাবে ব্যবহার করা যায় সেজন্যই এই মতবিনিময় সভার আয়োজন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের মার্চে আমরা করোনাকালীন সময়ে বিজনেস কন্টিনিউটি প্ল্যান তৈরি করে করোনা মোকাবিলা করেছি। ঠিক একইভাবে অর্থনৈতিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংকট মোকাবেলায় কী কী বিজনেস প্ল্যান করা দরকার এবং কী ধরনের সমাধান হতে পারে সে বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করে আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি সার-সংক্ষেপ প্রেরণ করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম সভাপতিত্ব করেন। আইসিটি বিভাগ ও এর অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানসহ বিভিন্ন আইটি সংশ্লিষ্ট ৪০ জন কর্মকর্তা এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে মিতব্যয়ী হতে লো কস্ট সেন্সর ব্যবহার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সম্মাননা প্রদান, ‘আমিই সমাধান’ অ্যাপ দিয়ে সচেতনতা কার্যক্রমের ফ্লো চার্ট, ৩৩৩ কলসেন্টার সংযুক্ত করে নাগরিকদের মধ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতি তথ্য চালু, লোডশেডিং পরিকল্পনা বিষয়ে অ্যাপ তৈরি, ভোরে এক ঘণ্টা সড়ক বাতি বন্ধ রাখা, এসএমএস, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে জরুরি বার্তা, বিগ ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিদ্যুতের লোডশেডিং পরিকল্পনা তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহণকারীগণ তাদের মতামত তুলে ধরেন। এছাড়া এ বিষয়ে এটুআই-এর পক্ষ থেকে তিনটি উপস্থাপনাসহ পাওয়ার সেভিংসের মূল্য ও প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে সাংস্কৃতিক, আচরণগত, আর্থিক কাঠামোর উপর অ্যানার্জি সাশ্রয় নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক একটি উপস্থাপনা প্রদর্শন করা হয়।