কেশবপুরে ঘর পেল ১৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার

 

যশোরের কেশবপুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে (দ্বিতীয় ধাপে) প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছে ১৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। বৃহস্পতিবার সকালে সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬,২২৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেছেন। তারই অংশ হিসেবে যশোরের কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১৩টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে প্রধান অতিথি হিসেবে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি তপন কুমার ঘোষ মন্টু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফুজ্জামান। এ সময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার, শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার সরদার, সমাজসেবা অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন, যুব উন্নয়ন অফিসার পুলোক কুমার সিকদার, প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মেল্ল্যা, সিনিয়র মৎস্য অফিসার সজীব সাহা, মহিলা বিষয়ক অফিসার রূপালী রানী, কেশবপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দীন, ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আনিছুর রহমান, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত, মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির পলাশ, বিদ্যান্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস,পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান, হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য কেশবপুর উপজেলায় ১ম ও ২য় পর্যায়ে ১৭১টি গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ১ম পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ছিল ১’লক্ষ ৭১’হাজার টাকা, ২য় পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ছিল ১’লক্ষ ৯০’হাজার টাকা এবং ৩য় পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ২’লক্ষ ৫৯’হাজার ৫’শত টাকা।