যশোরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে মারপিটের অভিযোগে মামলা 

mamla rai

 

দাবিকৃত যৌতুক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় স্ত্রীকে মারপিটের অভিযোগে স্বামী, জা, ভসুরসহ ৪ জনের নামে আদালতের নির্দেশে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শহরের ঢাকা রোড বিসমিল্লাহ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে শাহাবুদ্দিন মোল্লা ও মালেকা খাতুনের মেয়ে রুপা খাতুন ঘটনার ১৬ দিন পর শুক্রবার মামলা করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছে শহরতলীর ঝুমঝুমপুর বিডি আর ক্যাম্পের পিছনে ক্লাব মোড় সামছু খাঁর ছেলে হুমায়ন কবির (২৮) ইমাম হোসেনের স্ত্রী জাহানারা খাতুন (২৬) সামছু খাঁর ছেলে ইমাম খাঁ (৩৫) ও মাহাবুব খাঁ (৩০)।

মামলায় তিনি বলেছেন, আসামিরা যৌতুক লোভী। এক নং আসামি হুমায়ন কবির বাদি রুপা খাতুনের স্বামী। ২ নং আসামি জাহানারা খাতুন বাদির জা। ৩ ও ৪ নং আসামি যথাক্রমে ইমাম খাঁ ও মাহাবুুর খাঁ বাদির ভাসুর। আসামি হুমায়ন কবিরের সাথেে ২০১৩ সালে বাদি রুপা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা স্বামী স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করে। ১ নং আসামি রুপা খাতুনের নিকট নগদ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় মারপিট করে। রুপা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সংসার করতে থাকে। এতেও আসামি স্বামী হুমায়ন কবির ক্ষ্যান্ত হয় না। গত ৬ জুলাই সকালে ২নং আসামি জাহানারা খাতুন ও ৩ নং আসামি ইমাম খাঁর ইন্ধনে হুমায়ন কবির স্ত্রী রপা খাতুকে মারপিট করে ও খুন করে লাশ ঘুম করে দেবে বলে হুমকি দেয়। ওই দিন গোপনে ভয়ে রুপা শহরের ঢাকা রোড বিসমিল্লাহ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে তার বড় বোন রেখা খাতুনের বাড়ি চলে আসে। এ খবর পেয়ে আসামিরাও দুপুরে রেখা খাতুনের বাড়ি আসে। রেখার বাড়ি এসে আসামিরা রুপা খাতুনকে জিজ্ঞাসা কেন সে চলে এসেছে। আসামিদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ২ ন@ আসামি জাহানারা খাতুন রুপাকে জড়িয়ে ধরে। ১ নং আসামি স্বামী হুমায়ন কবির স্ত্রী রুপাকে হত্যার উদ্দেশ্যেদা দিয়ে মাথার মাঝখানে কোপ দেয়। কোপ রুপার মাথার ডান পাশে লেগে কেটে গুরুত্বর জখম হয়। ৩নঙ আসামি ভাসুর ইমাম খাঁ রুপাকে এলাপাতাড়ি মারপিট করে ফোলা জখম করে। ৪ নং আসামি মাহাবুর খাঁ ছুরি দিয়ে রুপার বাম চোখের উপর ভুরুতে কোপ মেরে জখম করে। এক নং আসামি স্বামী হুমায়ন কবির রুপার ডান হাতে কোপ মেরে জখম করে। ২ নং আসামি জাহানার, খাতুন রুপার গলা থেকে দেড় ভরি ওজনের সোনার চেন ছিনিয়ে নেয়। রুপার চিৎকারে স্তানীয় প্রতিবেশিরা এগিয়ে গেলে আসামিরা খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মামলা করতে বাধ্য হয়।