যশোরে যৌননিপীড়ন ও অবহেলায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

mamla rai

যশোরে যৌননিপীড়ন ও অবহেলায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। যশোর সদরের ফুলবাড়িয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান শনিবার মামলা করেন। মামলায় ফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত হামিদুল চৌধুরির ছেলে সামছুল চৌধুরিকে (৬০) আসামি করা হয়। পুলিশ আসামি সামছুল চৌধুরিকে আটক করেছে।
মামলায় হাবিবুর রহমান জানান, সামছুল চৌধুরি তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামী। তিনি সামছুল চৌধুরির সাথে একই বাড়িতে বসবাস করেন। সামছুল চৌধুরির স্বভাব চরিত্র ভালো না। সামছুল চৌধুরি বাদি হাবিবুরের মামাতো বোন একই গ্রামের কাশেম মৃধার মেয়ে টুম্পাকে প্রায় খারাপ কথাবার্তা বলে উক্তত্ত করতো। ১৮ জুলাই রাতে টুম্পা বসত বাড়ির উঠানে টিউবওয়েলে পানি আনতে গেলে আসামি সামছুল অসৎ উদ্দেশ্যে টুম্পার শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করে।

ঘটনাটি বাদি হাবিবুরের ছেলে হাফিজ (৮) দেখে ফেলে। বিষয়টি সবাইকে বলে দেবে জানালে আসামি সামছুল হাফিজের পিঠে জোরে আঘাত করে। এতে শিশু হাফিজের স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বাদি হাবিবুর শহরে রিকশা চলোনোর কাজে ছিলো। এখবর জানতে পেরে রাত ১১ টায় হাবিবুর বাড়ি এসে দেখে তার ছেলে হাফিজের শারীরিক অবস্থা খারাপ।

কিন্তু আসামি সামছুল হাফিজকে হাসপাতালে না নিয়ে মাথায় পানি ঢেলে সময ক্ষেপন করে। আসামি সামছুলের অবহেলার কারনে ইতিমধ্যে হাফিজ মারা যায়। এরপর বিষয়টি কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে সামছুল হাফিজকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। জরুরি বিভকাগে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১২ টায় মৃত ঘোষনা করেন। হাফিজের মৃত্যুর ঘটনায় কোতয়ালি থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়্ মামলা নং ১৪৯। তারিখঃ১৯.০৭.২২। হাফিজের দাফন সম্পন্ন করে হাবিবুর যৌন নীপিড়নের মামলা করেন। শনিবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের-২০০০ (সংশোধনী/ ২০০৩) এর ২২ ধারায় ভিকটিম টুম্পার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ গ্রহন করা হয়।