দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: চবি ছাত্রলীগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের একাংশের অবরোধের দ্বিতীয় দিন শুরু হয়েছে কিছুটা শিথিলভাবে। তবে নিরাপত্তার খাতিরে শাটল ও শিক্ষক বাস বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের তালা খুলে দেন অবরোধকারীরা। তবে তারা বলছেন- দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

আন্দোলনকারী চবি ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের কর্মী দেলোয়ার হোসেন বলেন , ‘আমাদের অবরোধ অব্যহত আছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তবে গতকাল রাতে আমরা অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে মূল ফটক খুলে দিয়েছি।’

এদিকে অবরোধের কারণে আজও কোনো শাটল ও বাস পৌঁছায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বন্ধ আছে ক্লাস সমূহ। পরীক্ষা স্থগিতের ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চৌধুরী আমির মোহাম্মদ মুছা। তিনি বলেন, ‘বিভাগীয় সভাপতিরা এই সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে শাটল-বাস যেহেতু আসেনি, পরীক্ষা বাতিল হতে পারে।’

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল শাটল চালকসহ তিনজনকে অপহরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছেলে। তাই নিরাপত্তার জন্য আমরা শাটল বন্ধ রেখেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘অবরোধের কারণে আজও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহনকারী বাস ক্যাম্পাস থেকে বের হতে পারেনি।’

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে গিয়ে দেখা যায়, অবরোধ পালন করছেন পদবঞ্চিত কর্মীরা। তবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে।

তিন বছর পর রোববার মধ্যরাতে ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদ নিয়ে নেতাদের মাঝে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। পদবঞ্চিতরা সোমবার ভোর থেকে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করছেন। সোমবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শাটল ও শিক্ষক বাস পৌঁছাতে দেয়নি অবরোধকারীরা। ফলে বাতিল করা হয় চার বিভাগের পরীক্ষা ও সব বিভাগের ক্লাস।