যশোরে ইউপি সদস্যকে মারপিটের অভিযোগে আটক এক

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গিয়াস উদ্দিন (৫০) নামে যশোর হৈবতপুর ইউপির এক সদস্যকে মারপিট ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। গিয়াস উদ্দিন সদরের সমসপুর গ্রামের মৃত সানা বিশ্বাসের ছেলে ও হৈবতপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য। বুধবার তিনি ২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনকে আসমি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছে সদরের মুরাদগড় গ্রামের মৃত ওয়াসের বিশ্বাসের ছেলে ইউনুচ আলী (৫৫) ও আমির আলীর ছেলে রিপন হোসেনসহ (৪৫) অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন। এদের মধ্যে পুলিশ ইউনুচ আলীকে গ্রেফতার করে।

মামলায় গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, আসামিরা খারাপ প্রকৃতির লোক। এলাকায় সন্ত্রাসী মূলত কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। আসামিদের অত্যাচার নির্যাতনে এলাকার লোক অতিষ্ঠ হয়ে আমার কাছে অভিযোগ করে। আমি তাদেরকে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড নিষেধ করায় আমার সাথে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। শত্রুতা সৃষ্টির পর আসামিরা আমাকে মারপিটসহ খুন জখমের হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিক বার মীমাংসার চেষ্টা করি। কিন্তু আসামিরা উল্টো আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারপিট ও খুন জখমের ষড়যন্ত্র করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমি মুরাদগড় গ্রামের জনৈক চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলাম। এ সময় আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধারালো চাকু লোহার রড বাশের লাঠিসহকারে সহযোগিদের নিয়ে দোকানের ভিতর ঢুকে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আসামি ইউনুচ আলীর নির্দেশে আমাকে এলাপাতাড়ি মারপিট জখম করে।

এ সময় ইউনুচ আলী লোহার রড দিয়ে পিছন থেকে আমার মাথায় বাড়ি মেরে রক্তাত্ত জখম করে। আমি মাটিতে পড়ে গেলে আমার প্যান্টের বাম পকেট থেকে আসামি ইউনুচ আলী আড়তের নগদ ১ লাখ টাকা ও ডান পকেট থেকে আসামি রিপন হোসেন ১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আসামি রিপন হোসেন আমার গলা মটির সাথে ঠেসে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। চাকু বের করে আমার গলায পোচ মারতে গেলে আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আসামিরা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এঘটনায় মামলা করা হলে বুধবার দুপুরে হৈবতপুর বাজার থেকে আসামি ইউনুচকে আটক করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকতাৃ এস আই সালআহ উদ্দিন খান জানান, মামলার তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। মঙ্গলবার দুপুরে গোপনে অভিযান চালিয়ে হৈবতপুর বাজার থেকে আসামি ইউনুচ আলীকে আটক করা হয়। আসামি রিপনকেও আটকের জন্য অবিযান অব্যাহত রয়েছে।