মহাসড়কে পুলিশের নামে নসিমন আটকে চাঁদাবাজিকালে আটক ১

jessore atok map

মহাসড়কে প্রকাশ্যে পুলিশের নামে নসিমন আটকে চাঁদাবাজিকালে ফেরদৌস হোসেন ওরফে ফিরোজ নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় নসিমনসহ চালককে উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মোড় বাস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নসিমন চালক ইশারত হোসেন আটক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আটক ফেরদৌস হোসেন একই এলাকার বানিয়ারগাতি গ্রামের মৃত মোতালেব হোসেনের ছেলে। ভুক্তভোগী নসিমন চালক ইশারত হোসেন জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে নসিমন চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে যশোর শহরতলীর ঝুমঝুরপুর বিসিক এলাকা থেকে কিছু সাইজ কাঠ নিয়ে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া তালতলা বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বসুন্দিয়া মোড় বাসস্ট্যান্ডে পৌছানো মাত্র ফেরদৌস তার নসিমনের পথরোধ করে। এসময় তার কাছে এক হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ফেরদৌস। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় গাড়িটি বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আটকে রাখার হুমকি দেয়। প্রায় ঘন্টা খানেক আটকে রাখার পরে স্থানীয় লোকজনের নজরে পড়ে। স্থানীয়রা এসে নসিমন আটকের বিষয়টি জানতে চায়।

ফেরদৌস জানান, তিনি ৩৫ বছর ধরে এই স্ট্যান্ডে নসিমন, করিমন ও অটো ভ্যান থেকে চাঁদাবাজি করে আসছেন। তাছাড়া এদিন আটক ইশারত আলীর কাছে তিনি দুই বছরের চাঁদার টাকা পাবেন। তাই দুই বছরের চাঁদার টাকা হিসেবে এদিন চালক ইশারত আলীর কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেছেন। এরই মধ্যে সেখানে জড়ো হয় শতাধিক লোকজন। এসময় স্থানীয়দের পক্ষে একজন বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কামরুজ্জামানকে মোবাইল করেন। কিন্তু এসআই কামরুজ্জামান বলেছেন তার করনীয় কিছু নেই। এরপর আবার স্থানীয় ওই লোকটি পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। ফলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই কামরুজ্জামান এসে চাঁদাবাজ ফেরদৌসকে আটক করেন। একই সাথে তার কাছ থেকে চালক ও নসিমন উদ্ধার করেন।
এদিনই এই ব্যাপারে ভুক্তভোগী নসিমন চালক বাদী হয়ে আটক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজিব।

উল্লেখ্য আটক ফেরদৌস দীর্ঘদিন ধরে বসুন্দিয়া মোড় বাসস্ট্যান্ডে নসিমন, করিমন, অটো ভ্যান আটক করে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। আর ওই চাঁদার টাকার একটি অংশ বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাস্পে দিয়ে থাকে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। সে কারণে ফেরদৌসের ওই চাঁদাবাজিতে নজরদারি নেই পুলিশের। আর তাই অবৈধ যান বাহন আটক করে ফেরদৌস বসুন্দিয়া ক্যাম্পে নেয়ার হুমকি দেয়।