হাতিয়ায় ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ১৩ জেলে

নোয়াখালীর হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৩ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। এই ঘটনায় ৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের বাড়ী নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে।

মঙ্গলবার বিকেলে জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলেরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রলারের মালিক হাতিয়ার জাহাজমারা আমতলি গ্রামের বাসিন্ধা লুৎফুল্লাহিল মজিব নিশান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে পটুয়াখালীর জেলার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায়। পরে পাশে থাকা একটি ট্রলার চার জেলেকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর নিয়ে আসে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা মঙ্গলবার বিকেলে মোবাইলে এই সংবাদ জানান।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় ট্রলার ও নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে চেষ্টা করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, এমভি নিশান নামে ট্রলারটি জাহাজমারা আমতলী ঘাট থেকে গত এক সপ্তাহ আগে ১৭ মাঝি মাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যায়। ট্রলারে থাকা সব মাঝি মাল্লার বাড়ি হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে।

নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে একজন মো. সোহেল (২২) উপজেলার জাহাজমারা আমতলী গ্রামের এনায়েত মাঝির ছেলে। তার ভাই মোটরসাইকেল চালক মো. রাসেল জানান, জীবিত উদ্ধার হওয়া চার জনের মধ্যে একজন ট্রলারের মাঝি মো. শামীম (৪৫)। তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ হয়েছে। শামীম তাকে জানান, ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টে যায়। এতে তিনিসহ চারজনকে অন্য একটি ট্রলার উদ্ধার করে। তবে অন্যদের সবাই কেবিনের মধ্যে থাকায় বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। সাগর উত্তাল থাকায় সেখানে কোনো ট্রলার যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

হাতিয়ার জাহাজমারা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম বিল্লাহ জানান, দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রলারটি জাহাজমারা আমতলী ঘাটের। নিখোঁজ ১৩ জেলের মধ্যে ৫ জনের বাড়ি জাহাজমারা আমতলী গ্রামে। অন্য ৮ জনের বাড়ি একই উপজেলার হরনী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। সবার বাড়িতে শোকের মাতাম চলছে।

এ বিষয়ে হাতিয়ার জাহাজমারা ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ এস আই মাসুদ জানান, সাগরে ট্রলার ডুবে জেলে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাটি পটুয়াখালী জেলার পাশে কোনো এক জায়গায় হবে। তবে এখন পর্যন্ত লিখিতভাবে কেউ কিছুই জানাননি।