সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের সুনির্দিষ্ট তথ্য চায়নি সরকার: সুইস রাষ্ট্রদূত

 

ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেছেন, সুইস ব্যাংকে রাখা অবৈধ অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য চাওয়া হয়নি।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’-এ তিনি এই কথা বলেন। ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈন উদ্দিন।

সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবির ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছরে বাংলাদেশিরা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন।

 

 

২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। প্রতি ফ্রাঁ বাংলাদেশি ৯৫ দশমিক ৭০ টাকা হিসেবে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

 

নাতালি চুয়ার্ড বলেন, বাংলাদেশিরা কত টাকা জমা রেখেছেন ওই তথ্য প্রতিবছর সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক প্রকাশ করে। ওই অর্থ অবৈধপথে আয় করা হয়েছে কিনা, এটি আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।

 

তিনি আরও বলেন, সুইস ব্যাংকে রাখা অর্থের বিষয়ে তথ্য পেতে কী করতে হবে, সে বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছি, কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো তথ্যের জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করা হয়নি। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে এ ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব এবং সেটি তৈরি করতে হবে। এটি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছি।

 

নাতালি চুয়ার্ড বলেন, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলো অবৈধ অর্থ রাখার কোনো নিরাপদ স্থান নয়। তবে বৈশ্বিক আর্থিক খাতের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সুইস ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ধরনের সংস্কার করেছে, নতুন ও উন্নত মানদণ্ড তৈরি করছে। সুইস ব্যাংকগুলো অবৈধ অর্থ রাখার জন্য প্রলুব্ধ করে- এই কথাটি ঠিক নয়।

 

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুইজারল্যান্ড কাজ করছে এবং তাদের জন্য মানবিক সহায়তা দিচ্ছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমরা এই সমস্যার সমাধান চাই। এ জন্য রাখাইনে যে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করার প্রয়োজন, সেটি এখনো তৈরি হয়নি। আমরা সেটি সবাই মিলে করার চেষ্টা করছি।