চবির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অসংগতি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকের ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ফলাফলে অসংগতি দেখা গেছে। সফটওয়্যারের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শুধু দুটি ইউনিটে যশোর বোর্ডের অধীনে থাকা ২৭২ জনের ক্ষেত্রে এ অসংগতি হয়েছে।

ওই শিক্ষার্থীদের জিপিএর তিনটি সংখ্যার তৃতীয় সংখ্যাটি বাদ পড়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ওএমআর বা লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে কোনো ধরনের অসংগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।

বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল ও ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটি। জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে কমিটির। ভর্তি কমিটির অনুমোদন পেলে ২৭২ জনের মেরিট পজিশন পরিবর্তন হওয়ার কথা রয়েছে।

শুধু যশোর বোর্ডের উত্তীর্ণ এই ২৭২ জনের ফলাফলে কিঞ্চিত পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছে আইসিটি সেল। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম বলেন, সফটওয়্যারের যান্ত্রিক সমস্যা হয়েছে। এইচএসসি ও এসএসসির জিপিএ নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছে। জিপিএ ৪.৪৩ হলে তিন নম্বর ডিজিট মানে ৩টা আসেনি। শিক্ষার্থীরা এই জিনিসটা আগে খেয়াল করতে পারত। তবে আমরা মিটিং করছি। খুব শিগগির সমাধান জানানো হবে।

ফলাফল পরিবর্তনের বিষয়ে অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম বলেন, তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না। খুব কাছাকাছি মেরিট থাকবে। আজকেই জানানো হবে পরিবর্তন।

ফলাফল প্রকাশ হওয়ার দুদিন পর যশোর বোর্ডের ‘এ’ ইউনিটের এক ছাত্র বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ করেন। পরবর্তীকালে দেখা যায় যশোর বোর্ডের আরও কিছু শিক্ষার্থীর এমনটি হয়েছে। দুটি ইউনিটের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ২২২ জন ও ‘সি’ ইউনিটে ৫০ জনের মতো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর মধ্যে এমনটা হয়েছে।

এ বিষয়ে ‘এ’ ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, সফটওয়্যারের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটা হয়েছে। তবে আমরা বিষয়টি অবগত হওয়ার পরপরই সভা করছি। সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

গত ২০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৩৮.৬৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছেন। পাস করেছেন ১৩ হাজার ৫৬৯ জন। ফেল করেছেন ১৯ হাজার ৫৮০ শিক্ষার্থী।

‘সি’ ইউনিটে পাস করেছেন দুই হাজার ২৬৪ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন নয় হাজার ২২২ জন। শতকরা হিসেবে পাসের হার ২৪.৫৫ শতাংশ। ফেল করেছেন ছয় হাজার ৯৫৮ জন শিক্ষার্থী।