যশোরে নিজ কন্যাকে ভারতের পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগে মামলা

যশোরের অভয়নগর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে নিজ কন্যাকে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগে পিতা ও সৎ মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার যশোরের আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নাজমার চাচা আলতাফ হোসেন। মামলার আসামিরা হলেন, নাজমার পিতা জুলফিকার আলী, সৎ মা ইয়াসমিন বেগম, তার মা সখিনা বেগম, বড়াল গ্রামের ধলা বিশ্বাসের মেয়ে মনিরা বেগম ও বিছালী গ্রামের মৃত হোসেন আলীর মেয়ে সুইটি বেগম। নারী ও শিশু নির্যাদন দমন ট্রাইবুনাল ১ এর বিচারক গোলাম কবির অভিযোগ আমলে নিয়ে সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৩৫ বছর আগে আসামি জুলফিকারের সাথে নাজমার মা জাহেদা বেগমের বিয়ে হয়। ২০ বছর আগে সংসার ভাঙ্গে জুলফিকার ও জাহেদার। এরপর সন্তান দু’টি পিতার কাছে থাকে। পরবর্তীতে জুলফিকার আসামি ইয়াসমিন বেগমকে বিয়ে করলে দু’সন্তানের উপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। একপর্যায়ে দেড় বছর আগে সৎমায়ের অত্যাচারে ছেলে নাজির বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এখনও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে সৎ মেয়েকে তাড়াতে ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নাজমাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এক লাখ টাকার বিনিময়ে মনিরা বেগমের হাতে নাজমাকে তুলে দেন তার সৎ মা। পরে অন্যান্য আসামির যোগসাজশে ভারতের মুম্বাই শহরের একটি পতিতালয়ে পাচার করা হয় নাজমাকে। পরে সেখান থেকে নাজমা তার গর্ভধারিণী মা ও চাচাকে ফোনের মাধ্যমে সব ঘটনা জানায়। এ বিষয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসা করলে তারা স্বীকার করে। ভাইজিকে ফিরে পেতে আদালতে এ মামলা করেছেন চাচা। এ মামলায় স্বাক্ষী হয়েছেন নাজমার মা জাহেদা বেগম।