জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়মিত সমন্বয় করবো: প্রতিমন্ত্রী

বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশেও জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়মিত সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল সোমবার জ্বালানি তেলের দাম পাঁচ টাকা কমানোর সিদ্ধান্তের পরপরই ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী ফেসবুকে লেখেন, ‘আমরা এখনও মনে করি- সাধারণ মানুষের জন্য বর্তমান দামটাও একটু বেশি হয়ে যায়। সবার প্রতি অনুরোধ একটু ধৈর্য ধরুন। আশা করি, এই কঠিন সময় খুব বেশিদিন থাকবে না। জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার কোনো অবস্থায়ই জনগণের কষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করতে চায় না। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আমাদেরকে নিরুপায় হয়েই জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের পথ বেছে নিতে হয়েছে।’

তিনি জানান, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে ডিজেলের মূল্য ছিল প্রতি ব্যারেল ১৪৭.৬২ মার্কিন ডলার। সে অনুযায়ী প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য পড়ে ১২৮.৬১ টাকা। অর্থাৎ ১০৯ টাকা ধরে ডিজেল বিক্রি করলেও প্রতি লিটারে বিপিসির লোকসান হবে ১৯.৬১ টাকা।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘সবাইকে একটা তথ্য জানিয়ে রাখি, বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে (সকল পণ্য) ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।’

দাম কমানোর পর এখন জ্বালানির দাম কত হবে তার তালিকাও তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘আজ (২৯/০৮/২০২২) রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল ১০৯ টাকা লিটার, কেরোসিন ১০৯ টাকা লিটার, অকটেন ১৩০ টাকা লিটার ও পেট্রল ১২৫ টাকা লিটার হবে। দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমল। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশেও আমরা নিয়মিত মূল্য সমন্বয় করব।’

গত রোববার ডিজেলে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। প্রত্যাহার করা হয় পাঁচ শতাংশ আগাম কর। কিন্তু বিশ্ববাজারে ডিজেলের দাম এখন ১৪০ ডলারের বেশি। তাই শুল্ক কমানোর পরও ঘাটতিতে আছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

এদিকে গত ৬ আগস্ট থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের লিটারে ৩৪ টাকা এবং পেট্রল ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। এরপর পরিবহন ভাড়া বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ। এর আগে গত নভেম্বরে লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম। ওই সময়েও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ।