না.গঞ্জে ছাত্রদল নেতা সুজনের মৃত্যুর তথ্য ঠিক নয়

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারি তোলারাম কলেজের যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন খান ফারুক নিহত হয়েছেন বলে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল, তা ঠিক নয়। তিনি মারা যাননি, হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

সুজনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।

শাহেদ বলেন, সুজনের অবস্থা আশংকাজনক। মহানগর বিএনপি ও আমাদের কাছে তার মৃত্যুর তথ্য ছিল। কিন্তু তিনি জীবিত, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এর আগে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, তোলারাম কলেজের যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন খান ফারুক ও শাওন নামে ছাত্রদলের এক নেতা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া তাদের দুই শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

পরে সন্ধ্যায় সুজনের জীবিত থাকার খবর জানতে চাইলে টিপু বলেন, আমার কাছে মৃত্যুর তথ্য ছিল। বাকিটা জানা নেই।

শাওন নামে যে যুবকের মৃত্যু হয়েছে, তাকে ছাত্রদলের কর্মী বলে দাবি করছে বিএনপি। শাওন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর চাচাতো ভাইয়ের ছেলে।

শওকত আলী বলেন, শাওন আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। সে রাজনীতিতে সক্রিয় না। ভেতরে কোনো সমর্থন ছিল না কি না সেটা জানা নেই।

সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নং রেল গেট এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে শাওন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। সকাল থেকেই তাকে বিএনপির মিছিলের সামনের সারিতে দেখা যায়। যুবদল নেতা সাদেকুর রহমানের সঙ্গেই ছিলেন তিনি।

পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় শাওনকে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজা বলে দাবি করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শাওন তিনি পথচারী ছিলেন কিনা তা তদন্তাধীন বলেও জানান তিনি।

বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পূর্বাঘোষিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সড়কের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় জড়ো হতে থাকেন বিএনপিসহ এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টার দিকে মিছিল বের করতে গেলে বাধার মুখে পড়েন তারা। বেলা পৌনে ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এই সংঘর্ষের মধ্যেই শাওন নিহত হন।