বিরোধী দল নির্মূলের চক্রান্ত করছে সরকার: ফখরুল

mirza fokrul
ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার দেশ থেকে বিরোধী দল নির্মূলের হীন চক্রান্তে মেতে উঠেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নীল-নকশা তৈরি করেছে। সরকার তার অবৈধ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সারাদেশে শুরু করেছে হত্যা, গুম, খুন, হামলা-নির্যাতন। এ সরকার শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আচরণের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে তাদের ফ্যাসীবাদী চরিত্রই উদঘাটিত হচ্ছে। সার্বিক ক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্ববান জানানো হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির এই বৈঠকে।

আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির অনুষ্ঠিত ভার্চুয়ালী বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত জানাতে তিনি এ বিবৃতি দেন। এক বৈঠকে দেশব্যাপী বিরোধী দল নির্মূলের উদ্দেশ্যে সরকারের হীন চক্রান্তের তীব্র সমালোচনা করা হয়।

বিবৃতিতে তিনি জানান, পুলিশের গুলিতে নিহত, হেফাজতে মৃত্যু ও হামলা নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিটি ঘটনায় মামলা দায়ের করার জন্য কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ে ‘আইনী সেল’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ভবিষ্যত কর্ম-পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা এবং তা জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপন করে অনুমোদন নেওয়ার জন্য ড. আব্দুল মঈন খানকে আহ্বায়ক এবং ড. জাবিউল্লাহ, জহির উদ্দিন স্বপন ও এবিএম মোশারফ হোসেনকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি অতিদ্রুত প্রস্তাব পর্যালোচনা করে স্থায়ী কমিটিতে রিপোর্ট উপস্থাপন করবে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের চরম অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এর মাঝে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রচার চালাতে জনগণের ১৩২ কোটি টাকার অর্থ অপচয়ের এলইডি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। শুধুমাত্র দুর্নীতি আর নির্বাচনের আগে ফায়দা লোটার জন্যই এই ধরনের প্রকল্প নেয়া হয়েছে।