পিবিআইপ্রধানের বিরুদ্ধে বাবুলের মামলার আবেদন

পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। কারাগার থেকে নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার এই আবেদন করেছেন বাবুল।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছার আদালতে বাবুলের পক্ষে তাঁর আইনজীবী কামরুল ইসলাম চৌধুরী সাজ্জাদ আবেদনটি করেন। আদালতে বাবুলের মামলার আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চোধুরী। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর এই আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য তারিখ দিয়েছেন আদালত।

বাবুলের আইনজীবী কামরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত বছরের ১০ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত তাঁর মক্কেলকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদনটি করা হয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন-পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা, জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, পিবিআইয়ের তৎকালীন পরিদর্শক এ কে মহিউদ্দিন, সন্তোষ চাকমা ও এনায়েত কবির। তাঁদের মধ্যে মহিউদ্দিন এখন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার, আর সন্তোষ নগর পুলিশের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।

আবেদনে বলা হয়, বাবুলকে পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। স্ত্রী মাহমুদা খানমকে হত্যার করার কথা স্বীকার করতে তাঁকে বনজ কুমারের নির্দেশে নির্যাতন করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ ঘটনায় তিনি প্রথমে বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে গত বছরের মে মাসে মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

এদিকে বাবুলের করা মামলাটি সচল থাকে। গত বছরের মে মাসে বাবুলকে স্ত্রী খুনের মামলা আসামি করা হয়। মামলায় পিবিআইয়ের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করেছে পিবিআই। চলতি মাসেই এই মামলায় পিবিআইয়ের আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার কথা রয়েছে।