ঢাকার ১৬ স্থানে সমাবেশ করবে বিএনপি

bnp logo

ঢাকা মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণের ১৬ স্থানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নারায়ণগঞ্জে যুবদলের শাওন এবং ভোলায় ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমের হত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশ করবে দলটি।

বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি অবহিত করে চিঠি দিয়েছে উত্তর বিএনপি। একই দাবিতে গত ২২ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, উপজেলা, থানা, পৌর সভাগুলোতে কর্মসূচি করে আসছে দলটি।

আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ বিএনপিও চিঠি দেবে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে এই সমাবেশ শুরু হয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। এর মধ্যে জোড় তারিখে দক্ষিণ বিএনপি এবং বিজোড় তারিখে উত্তর বিএনপি এ কর্মসূচি করবে। এসব সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা বিএনপি মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিকে আটটি জোনে ভাগ করেছি। প্রতিটি জোন এলাকায় একটি সমাবেশ হবে। কোন জোনে কবে সমাবেশ করা হবে এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকেও অবহিত করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আটটি জোন হলো- মতিঝিল ও পল্টন। শাহবাগ ও রমনা। সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া ও ওয়ারি। লালবাগ, চকবাজার ও কামরাঙ্গীরচর। কদমতলী ও শ্যামপুর। যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা। ধানমন্ডি, কলাবাগান, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট। সবুজবাগ, খিলগাঁও এবং মুগদা।

ঢাকা মহানগর উত্তরের জোন আটটি হলো- উত্তরা পূর্ব, উত্তর খান ও দক্ষিণ খান। উত্তরা পশ্চিম, তুরাগ, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত। পল্লবী, রূপনগর ও ভাষানটেক। বাড্ডা, ভাটারা ও রামপুরা। মিরপুর, শাহ আলী, দারুসসালাম এবং কাফরুল। মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর। গুলশান বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট। তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এবং হাতিরঝিল।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে দেওয়া চিঠিতে উত্তর বিএনপি উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সমাবেশ বিকাল তিনটা থেকে শুরু হবে।

এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনারের সহযোগিতা চেয়েছে উত্তর বিএনপি। পাশাপাশি নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং মাইক ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।