ফেনী জেলার সকল জনপ্রতিনিধির সাথে মতবিনিময় করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার ফেনীর একটি কনভেনশন হলে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট হাফেজ আহম্মেদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী।
নিজাম উদ্দিন হাজারী তার বক্তব্যে বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে আওয়ামী লীগ যাদের মনোনয়ন দিয়েছে তাদের বাহিরে কেউ মনোনয়ন জমা দিলে সে মনোনয়নে কোন জনপ্রতিনিধি প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। যদি কেউ করেন তাহলে তাদের বিএনপি জামায়াতের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলে ধরা হবে। যদি কেউ কোন প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়নে প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষর করে থাকেন তাহলে নির্বাচন অফিসে গিয়ে আজই তা প্রত্যাহার করে নেন।
আপনারা জানেন, জেলা পরিষদের নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি ছাড়া কেউ ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। সুতরাং আপনারা এই ভুলটি করবেন না। সদস্য পদে ১৩১জন মনোনয়ন ক্রয় করেছিল। আপনারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি পছন্দ করে দিতে। সবাইকে তো মনোননয়ন দেয়া সম্ভব নয়। আমি জানি সবাই আমাদের দলের ত্যাগী নেতা কর্মী। কিন্তু কিছুতো করার নেই। যাকে দিয়েছে তার সাথে থেকেই সবাই কাজ করুন। ইউপি নির্বাচনে যা হয়েছে তা শেষ। ইউপি নির্বাচনে কে আপনাদের ভোট দিয়েছে কে ভোট দেয়নি তা সে সময় শেষ। সবাই একসাথে মিলে মিশে কাজ করতে হবে।
ফেনী জেলায় ৬৫৪জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৬৫১ জনই আমাদের দলীয়। বিএনপি জামায়াতের সাথে যাদের সখ্যতা আছে তারা সখ্যতা ত্যাগ করুন। আমার দলের প্রত্যেকটি জনপ্রতিনিধি ও কর্মীর প্রতি আমার ভালোবাসা আছে, টান আছে। যদি কেউ সখ্যতা ত্যাগ করতে না পারেন তাহলে আমাকে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হতে হবে। আগামী নির্বাচণে যারা বিএনপি জামায়াতেরসাথে সখ্যতা করে চলে তাদের বাদ দিয়ে তৃণমূলের সাথে যাদের যোগাযোগ আছে তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে। জনপ্রতিনিধিরা কে কার সাথে যোগাযোগ করে সবই আমার জানা আছে।
সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কারও কাছে ক্ষমতা চলে গেলে দেশ নিরাপদ থাকবে না। আমরা নিরাপদ থাকবো না। সুতরাং শেখ হাসিনার নৌকাকে, বঙ্গবন্ধুর নৌকাকে জিতাতেই হবে।