হরিণাকুন্ডুতে নবীকে নিয়ে ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্যেকারীকে এক ঘন্টায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ

 

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে জনতা। এই ঘটনায় হরিণাকুন্ডু থানায় বাদি হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন হরিণাকুন্ডু ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়বুর রহমান।শনিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দণ্ডবিধির ২৫৫(ক), ১৫৩(ক) ও ৫০০ ধারায় এই মামলা লিপিবদ্ধ হওয়ার মাত্র ১ ঘন্টার মধ্যে ঢাকা থেকে অভিযুক্ত হাসান মেহেদীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শৈলকুপা-হরিণাকুন্ডু সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার অমিত কুমার বর্মণ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।জানাগেছে, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার নারায়ণকান্দি গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে হাসান মেহেদী নামের এক যুবক। বর্তমানে তিনি রাজধানী ঢাকার এক পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হরিণাকুন্ডুর এক যুবকের ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে নিজের এই মন্তব্যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)কে চরিত্রহীন হিসাবে বিদ্বেষ ছড়ান। এই মন্তব্যের পরে অনেকেই এটা ভুল বশতঃ কিনা জানতে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি নিজের বক্তব্য জেনে বুঝেই করেছেন এবং এই মন্তব্য ডিলিট করবেন না বলে জানান। শুক্রবার এই মন্তব্যের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়লে মুসলিম হিতৈষিদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পরে। শনিবার বিকালে হরিণাকুন্ড উপজেলার দোয়েল চত্বরে এক প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেয় মুসলিম উম্মাহর ব্যানারে। শনিবার দুপুরে শৈলকুপা-হরিণাকুন্ডু সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার অমিত কুমার বর্মণ হরিণাকুন্ডুতে যেয়ে উত্তেজিত জনতার সাথে কথা বলে মামলা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তার আশ্বাসে ৩ দিনের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করে উত্তেজিত জনতা।তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে বলেন, দ্রুত এই হাসান মেহেদীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এই হাসান মেহেদীর ভাতিজা ২০১৩ সালে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তার ছাত্রত্ব বাতিল করেন। হাসান মেহেদীসহ কিছু লোক হরিণাকুন্ডুতে আলাদা একটি ধর্ম পালন করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অপরদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে কোন প্রকার সহিংস ঘটনা না ঘটে সে দিকে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।