প্রশ্নফাঁসে ইউএনওকে শোকজ, বরখাস্ত হয়ে হাসপাতালে শিক্ষা কর্মকর্তা

ফাইল ছবি

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মার গাফলতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাকে শোকজ করা হয়েছে।

এ ছাড়া একই ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় চলতি এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) এবং দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এসব বিভাগের শত শত শিক্ষার্থীর জন্য বোর্ড কর্তৃক পরীক্ষার জন্য প্রদত্ত কয়েক হাজার প্রশ্নপত্র সেটের প্যাকেট পাঠিয়ে দেয়। এসব প্যাকেট থেকে প্রশ্ন সর্টিং এবং যাচাই-বাছাই করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজন প্রতিবেদন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মাকে শোকজ করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক । গত বুধবার তিন কর্মদিবসের সময় দিয়ে শোকজের জবাব দিতে বলা হয় ওই শোকজ পত্রে।

 

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিধি মোতাবেক ইউএনও পরীক্ষার ব্যাপারে চিঠি শোকজ করেছেন। তার পরও কোনো গাফিলতি আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

ইউএনওকে শোকজ করা হয়েছে— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। শোকজের জবাব পেলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।

 

জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম বলেন, বরখাস্ত হওয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে ভুরুঙ্গামারী হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে।

 

তিনি আরও জানান, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের তিন সদস্যের তদন্ত টিম তদন্ত শেষে আজ ফিরে গেছেন।

এ ছাড়া প্রশ্নপত্র সুর্টিংয়ের দায়িত্বের ব্যাপারে বলেন, এক বা দুদিনে একজন মানুষের পক্ষে কয়েক হাজার প্রশ্নের প্যাকেট যাচাই-বাছাই করা অসম্ভব। এ জন্য ভুরুঙ্গমারীর ৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য কমপক্ষে ছয়জনকে কয়েক দিন সময় দিয়ে প্রশ্ন সর্টিং করার দায়িত্ব দিলে নির্ভুলভাবে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারত। প্রশ্নফাঁসের এ দায় থেকে সংশ্লিষ্ট কেউ দায় এড়াতে পারে না।

 

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান বলেন, আমাকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমি বর্তমানে হসপিটালাইজড আছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।

 

ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মাকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।