ভোট ডাকাতি করতেই ইভিএম কেনার পাঁয়তারা : খন্দকার মোশাররফ

সরকার মেশিনে ভোট ডাকাতি করতেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি আরও বলেন, যে দেশের মানুষ নিজের হাতে ভোট দিতে পছন্দ করে সেখানে জোর করে জনগণকে ইভিএম মেশিন দেখানো হচ্ছে কেন? ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করেছে ডাকাতি-ওইটা তো আর করা যাবে না। সেজন্য এবার ইভিএম দিয়ে ডাকাতি করার জন্য তারা (সরকার) কিন্তু প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর দেশের ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে এ মেশিনের জন্য।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ’র ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় এ সব কথা বলেন মোশাররফ হোসেন।
‘ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ স্মৃতি সংসদ’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, যেখানে আমাদের দেশের মানুষ এখন খেতে পায় না। আজকে দেশের অবস্থা দুর্ভিক্ষ প্রায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, এক লাফে ৫০ শতাংশের বেশি জ্বালানি তেলের দাম, সারা দেশে গ্রামে-গঞ্জে লোডশেডিং ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা হচ্ছে, ঢাকা শহরেও পর্যায়ক্রমে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। সেখানে এত অর্থ খরচ করা হচ্ছে ইভিএমের জন্য।

ড. মোশাররফ বলেন, এরা যদি ক্ষমতায় থাকে তাহলে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক ধ্বংসস্তূপের দিকে যাচ্ছে-এটা রক্ষা হবে না। তাই এর থেকে রক্ষা পেতে হলে এ সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে।

‘আ স ম হান্নান শাহ বেঁচে থাকলে তিনিও এ কথাই বলতেন। আসুন আমরা মরহুমের যে সাহসী জীবন, গণতান্ত্রিক ও দেশাত্মবোধ নিয়ে যে জীবন সেই জীবন থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে সেই সাহস নিয়ে এ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করি, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এসে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেই এবং জনগণ তাদের নিজের হাতে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলে সামনের দিকে অগ্রসর হই। ইনশাল্লাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। ’

গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবুর রহমানের পরিচালনায় সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, হুমায়ুন কবির খান, ডা. রফিকুল ইসলাম, কৃষক দলের শহীদুল ইসলাম বাবুল, গাজীপুরের কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, ওমর ফারুক শাফিন, ডা. শফিকুল ইসলাম, আনম খলিলুর রহমান, ভিপি ইব্রাহিম, ইশরাক সিদ্দিকী, আজিজুর রহমান পেয়ারা, সাংবাদিক রাশেদুল হক ও প্রয়াত হান্নান শাহের ছেলে জেলার সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান বক্তব্য দেন।