যশোরে প্রতিবন্ধি ছেলেকে পাগল বলার প্রতিশোধ নিতে শিশু সানজিদাকে হত্যা করা হয়

যশোর সদর উপজেলার পতেঙ্গালি এলাকা থেকে নিখোঁজের ১২ ঘন্টা পর প্রতিবেশীর চালের ড্রাম থেকে সানজিদা জান্নাত মিষ্টি (৪) নামে চার বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার ও হত্যার কারণ উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আঞ্জুয়ারা বেগম ও রেজাউল রেজা নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। সানজিদা পতেঙ্গালী গ্রামের সোহেল হোসেনের মেয়ে।
গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। হত্যাকান্ডের কারন সম্পর্কে গতকাল রবিবার বিকেলে পুলিশ জানায়, আঞ্জুয়ারা ও তার কথিত স্বামী রেজাউল রেজার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিষয় নিহত সানজিদার মা শরিফা খাতুন জানতে পারায় এবং বিভিন্ন সময় আঞ্জুয়ারার প্রতিবন্ধি ছেলে অপূর্ব হাসানের (৫) সাথে সানজিদার হাতাহাতির করার সময় অপূর্বকে পাগল বলার প্রতিশোধ নিতেই আঞ্জুয়ারা শ্বাসরোধে হত্যা করে সানজিদাকে।
পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা জানান, কাজ না থাকায় গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সানজিদাকে বাড়ির পাশের দোকানে নিয়ে খাবার কিনে দেন বাবা সোহেল হোসেন। এরপর বাড়িতে দিয়ে যান। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলো সানজিদা। পরিবারের সদস্যরাসহ প্রতিবেশীরা সারাদিন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে। এমনকি পুকুরে জাল ফেলেও খোঁজ করা হয় তাকে। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন সোহেল হোসেন। ওই জিডির কপি নিয়ে মেয়েকে উদ্ধারের আশায় সোহেল ও তার স্ত্রী ডিবি অফিসে যান। এরপর ডিবি পুলিশ প্রতিবেশী আঞ্জুয়ারা বেগমের চালের ড্রাম থেকে সানজিদার লাশ উদ্ধার করে।
একমাত্র মেয়ের লাশ উদ্ধারের পর বুক ফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েন শরিফা খাতুন। এ সময় তিনি মেয়ের হত্যাকারীর বিচার দাবি করেন।
ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, তদন্তের একপর্যায়ে সানজিদার বাবা মায়ের সাথে থাকা আঞ্জুয়ারা বেগমের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে সানজিদাকে হত্যা করে নিজ ঘরের চালের ড্রামে লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে আঞ্জুয়ারার বাড়িতে গিয়ে চালের ড্রাম থেকে সানজিদার লাশ উদ্ধার করা হয়।