গাজীপুরে হামলার ঘটনায় ফখরুলের নিন্দা

mirza fokrul

গাজীপুর জেলা বিএনপির শান্তিপূর্ণ শোক র‌্যালিতে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় বেধড়ক লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছোড়া হয়।

এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ যুবদল ও ছাত্রদলের ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে নগরীর রাজবাড়ী রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে শোক র‌্যালি বের করলে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি প্রকাশ করে গাজীপুরে যুবদল নেতা জাকির হোসেনকে গুলি ও ২৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ তুলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওই বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার বিরোধীদলহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘকাল ভোগ করার বাসনায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাগামহীনভাবে বাধা প্রদান করছে। সরকারের মদদে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী গুলি চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, গুরুতর আহত, বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেফতার এবং বিএনপির শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ পণ্ড করাকে নিত্যদিনের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড হিসেবে গণ্য করছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতাকর্মীকে নির্দয়ভাবে গুলি চালিয়ে হত্যার পরও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী আরও রক্ত ঝরাতে মেতে উঠেছে। তাই মঙ্গলবার গাজীপুরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ শোক র‌্যালিতে পুলিশ গুলি চালিয়ে যুবদল নেতা জাকির হোসেনকে গুরুতর আহত করে। তিনি এখন মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সেখানে গুলি ছাড়াও টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও বেপরোয়া লাঠিচার্জের মাধ্যমে ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর জখম করেছে। পুলিশ এই অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ করেই থেমে থাকেনি, উল্টো সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে যুবদল নেতা মারুফ, মাসুম, নাসির, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফ, ছাত্রদল নেতা শাকিল ও মহিলা দল নেত্রী ডালিয়াসহ কমপক্ষে ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গণধিকৃত আওয়ামী সরকার জন বিস্ফোরণ দেখে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে নিঃশব্দ পরিবেশ সৃষ্টি করতেই নিশিরাতের সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে স্তব্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আর সেজন্যই তারা আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে কব্জায় নিয়ে বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচির ওপর বেপরোয়া হামলা শুরু করেছে। গাজীপুরে শান্তিপূর্ণ শোক র‌্যারিতে পুলিশের হামলার ঘটনা সেই ধারাবাহিকতারই অংশ। বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনস্বার্থের কোনো দাবি বা অধিকারকে পরোয়া করে না। সরকার তাদের কৃতকর্মের জন্য এখন পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন। তবে শত বাধা ও জুলুম-নির্যাতন চালিয়েও বর্তমান সরকার জনবিস্ফোরণ ঠেকাতে পারবে না, ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমাতে পারবে না। বরং সরকারের পতন অনিবার্য।