আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না: শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘আজকে আমাদের নেতাকর্মীরা যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসানো হবে।’ আজ শনিবার বিকেলে খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘নেতাকর্মীরা ফোন দিয়ে বলে, ভাই আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন থানায় আটকে রেখেছে। আমাদের শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে। তারপরেও আমার ডাকে সবাই ছুটে এসেছেন। কোন নেতা যেন বলেছিলেন, পদ্মার এপারে নামতে দেবেন না। একবার বাসার ছাদে উঠে তাকিয়ে দেখেন। অনেক হয়েছে, এবার থামেন। পদ্মার এপার কি আমরা বেঁচে দিয়েছি?’

 

 

সরকারের উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বেগম জিয়াকে মুক্তি দেন, দেশ নায়ক তারেক জিয়ার মামলা তুলে নেন। সোজা কথা নেতাকর্মীদের সব মামলা তুলে নেন। আর না হলে বিচারপতি তোমাদের বিচার জনগণ করবে। প্রস্তুত হোন, শিগগিরই বিমানবন্দরে যেতে হেবে। কয়েক কোটি মানুষ মিলে বিমানবন্দরে যাবো দেশ নায়ককে রিসিভ করতে। সুষ্ঠ ভোট হলে দশটি আসনও পাবেন না। গুলি করে কর্মীদের হত্যা করেছেন। কি ভেবেছেন এমনিই ছেড়ে দেব। দাবি একটাই পদত্যাগ করেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন। শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখেন, যখন মন্ত্রীরা পালাচ্ছিলেন, তাদের অবস্থা চিন্তা করে নিজেদের কথা ভাবুন।’

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি গণসমাবেশে বলেন, ‘এই সরকার হামলাবাজ, মামলাবাজ, কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আয়নাঘর তৈরি করেছে। আয়নাঘর ভেঙে দিতে হবে।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দীন খোকন বলেন, ‘আওয়ামী সরকার বলে বিএনপি নাকি সমাবেশ করতে পারবে না। কিন্তু জনতার আন্দোলন কোনো বাধা দিয়ে ঠেকানো যায় না। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চরিত্র হলো দুর্নীতিবাজের চরিত্র। এরা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে দেশের সম্পদ বাইরে বেচে দিচ্ছে। এই লুণ্ঠনবাজ, দুর্নীতিবাজ, ভোট ডাকাত, মানুষের অধিকার হরণকারীদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব।’

 

গণসমাবেশের সভাপতি খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘আমরা শান্তিপ্রিয়ভাবে সমাবেশ করতে চেয়ছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের লোকজন আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। সব ধরনের যান বন্ধ করে আমাদের সমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছে। আজকে খুলনার মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে সরকারের মেয়াদ শেষ।’