বিএনপি লাশের রাজনীতি করে না: নজরুল

বিএনপি লাশের রাজনীতি করে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ২০ দলীয় জোটের শরিক দুটি দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, লাশ যদি আন্দোলনের হাতিয়ার হয় তাহলে বিএনপির প্রায় হাজার খানেক মানুষকে গুম করা হয়েছে, হাজার মানুষকে গুম করা হয়েছে। সাম্প্রতিক এই আন্দোলনে গত কয়েক মাসে আমাদের ৫ জন সহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।

লাশের কি অভাব আছে?

কিন্তু আমরা লাশ নিয়ে রাজনীতি করি না। বরঞ্চ জনগণের দাবি আদায়ের জন্য লাশ হওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আমরা আন্দোলন করি।

তারা যেসব কথা বলে, তাদের আর সঠিক বা ভালো কথা বলার মুখও নাই, তাদের সামার্থ্যও নাই, যোগ করেন বিএনপির এই নেতা।

শনিবার খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশের দিন সকালে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা তাদের যত সন্ত্রাসী, বিভিন্ন মামলার আসামি, খুনের মাদকের সন্ত্রাসের—তাদের জনসভা উপলক্ষে জড়ো করছে। আগেভাগে খুলনার সেই জায়গায় দখল করছে, তাদের দলের অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছে। এখন তাদের উদ্দেশ্য হলো, একটা ঘটনা ঘটানো, তাদের উদ্দেশ্যে হলো তারা লাশ ফেলতে চায়। লাশ ফেলে আন্দোলন জমাতে চায়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চিন্তা বিএনপিকে ভুলে যেতে হবে-ওবায়দুল কাদেরের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা ভুলে গেলে ওনাদের সুবিধা হয়। কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত যে, তাদের সুবিধার জন্য আমরা রাজনীতি করি না। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার জন্য রাজনীতি করি। আর বাংলাদেশের মানুষের সুবিধা হবে দেশে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে।

গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রোববার বিকেল ৪টায় ন্যাপ ভাসানী এবং বিকেল ৫টায় পিপলস লীগের নেতাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সংলাপে বসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে নজরুল ইসলাম খানও উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপে আজহারুল ইসলাম নেতৃত্বে ন্যাপ-ভাসানী ও গরীবে নেওয়াজ পিপলস লীগের নিজ নিজ দলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

ন্যাপ ভাসানীর অন্যান্য নেরা হলেন—আকমন হোসেন, নুরুল আমিন, মহসিন তফাদার, আজিজুল হক, ছাইফুল ইসলাম, লুতফর রহমান, শাহীন আলম, মো. সাকীব ওমো. আল আমীন।

পিপলস লীগের নেতারা হলেন—সৈয়দ মাহবুব হোসেন, দুলাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, শাহিন হোসেন, খন্দকার সুমন ও তামিম হোসেন।