রংপুরে বিএনপির সমাবেশস্থলে যুবদল নেতার মৃত্যু

রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে আসা মোস্তাফিজুর রহমান (৪৫) নামে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং সুন্দোল গ্রামের মৃত আক্তার খলিফার বড় ছেলে।

শনিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের সঞ্চালক মোস্তাফিজুর রহমানের মারা যাওয়ার খবর ঘোষণা করেন। সঞ্চালক বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান গণসমাবেশস্থলেই মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে শোক জানাচ্ছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যের শুরুতে মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে মোস্তাফিজুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

এর আগে বিকেল ৪টার দিকে সমাবেশস্থলে মোস্তাফিজুর রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে। এরপর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সমাবেশে যোগ দেয়ার পর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিএনপির এই নেতা জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মোস্তাফিজুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে।

কাহারোল উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গণসমাবেশে যোগ দিতে সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মোস্তাফিজুর কাহারোল থেকে রংপুরে যান। এরপর ৪টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।

এর আগে শনিবার সকালে মোস্তাফিজুর রহমান কাহারোল থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে রংপুরে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দেন। প্রায় ৫০ জনের একটি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে তিনি গণসমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। এরপর বিকেল ৪টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন সরকার, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী হত্যা, হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার পর শনিবার রংপুর বিভাগীয় শহরে দলটির চতুর্থ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।