স্বাভাবিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রশ্নফাঁসের গুজব ছাড়া ও নকলমুক্তভাবে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি বলেছেন, এবার জুলাই-আগস্টে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বন্যার কারণে পেছাতে হয়েছে।

আগামীবার আরও এগিয়ে আনার চেষ্টা করব। আমরা যাতে স্বাভাবিক সময়ে (মার্চ-এপ্রিল) পরীক্ষা এগিয়ে আনতে পারি, সে চেষ্টাই করা হচ্ছে।

রোববার (৬ নভেম্বর) সারা দেশে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এদিন বেলা ১১টায় রাজধানীর বকশিবাজারের সরকারি বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান।

এসময় তিনি বলেন, যানজটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর আসতে দেরি হয়। কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জমায়েত নিষিদ্ধ। এজন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে সন্তানদের নামিয়ে দিয়ে স্থান ত্যাগ করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। সব পরীক্ষার্থীই আমাদের সন্তান তুল্য।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত এসএসসি পরীক্ষাতে একটি জায়গায় অভিনব কায়দায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। এবার যেন তা না হয়, সেজন্য আমরা তৎপর রয়েছি। যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভুয়া প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, অপচেষ্টা থাকতেই পারে। তবে কোনটাই সফল হয়নি এবং হবেও না।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোচিং বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। একই কোচিং সেন্টারে অনেক ধরনের কোচিং চলে, এটাই সমস্যা। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাশনের সহযোগিতা প্রয়োজন। এটা ঠিক যে কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে। ক্লাসে এত শিক্ষার্থী, সবার প্রতি শিক্ষকদের আলাদা নজর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে নতুন যে শিক্ষাক্রম, তাতে কোচিংয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে আমি আশা করি। এটি ২০২৩ এ ৬ষ্ঠ, ৭ম এ শুরু হচ্ছে। ২০২৫ সালে নতুন শিক্ষাক্রম সব শ্রেণিতে শুরু হবে। এতে শিখন পদ্ধতি যা, তাতে হয়তো প্রাইমারি থেকে এইচএসসি পর্যন্ত কোনো কোচিংয়েরই প্রয়োজন হবে না।